২১ আগস্টের খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে : ওবায়দুল কাদের

0
215

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তারেক রহমানসহ ২১ আগস্টের খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের এই মেয়াদে বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে পঁচাত্তরের খুনিদের মতো ২১ আগস্টের খুনিদেরও বিচারের রায় কার্যকর করা হবে। যারা বিদেশে আছে বিশেষ করে তারেক রহমানসহ খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের এই মেয়াদে বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে পঁচাত্তরের খুনিদের মতো ২১ আগস্টের খুনিদেরও বিচারের রায় কার্যকর করা হবে। যারা বিদেশে আছে বিশেষ করে তারেক রহমানসহ খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।ওবায়দুল কাদের আজ শুক্রবার গ্রেনেড হামলার ১৬তম বার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভার সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়স্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। গণভবন থেকে সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইতিহাস বড় নির্মম। তাকে (শেখ হাসিনা) যারা সেদিন টার্গেট করেছিল তার হাত দিয়েই শুরু হয় নির্মমতার বিচার। ঐতিহাসিক রায় হয়েছে, মামলাটি এখন উচ্চ আদালতে রয়েছে আপিল নিষ্পত্তির আশায়।তিনি বলেন, উন্নয়নের পথের বাধা এক এক করে অপসারিত হচ্ছে। দেশের ভাগ্য বদলের ম্যাজিকাল ট্রান্সফর্মেশন হচ্ছে। আর ওইদিকে ষড়যন্ত্রকারীরা দেশে-বিদেশে গুজব, ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার আর মিথ্যাচারের বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে।ওবায়দুল কাদের বলেন, একাত্তরের লাখো শহীদের রক্তে যে মাটি ভিজেছিল, যে মাটি বঙ্গবন্ধুর রক্তে ভিজেছিল পঁচাত্তরে, সেই মাটিতে আবারও রক্ত স্রোতে, যা ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিশ্ব অবাক বিস্ময়ে দেখেছে। সেদিন তাদের টার্গেট ছিল বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। পঁচাত্তরের বুলেট ২০০৪ সালে ফিরে আসে প্রাণঘাতী গ্রেনেড হয়ে। নেতাকর্মীরা প্রাণপণ করে নেত্রীর সুরক্ষায় গড়ে তোলে মানবঢাল। আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে আবারও বেঁচে যান শেখ হাসিনা।ওবায়দুল কাদের বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে যা যা করার দরকার ছিল তার সবই করেছিল তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকার। বিচারপতি জয়নুল আবেদীনকে দিয়ে করা হয় এক সদস্যের কমিশন। সে কমিশন হাস্যকরভাবে এই হামলার জন্য পার্শ্ববর্তী দেশকে দায়ী করে দায়িত্ব শেষ করে। এভাবে এদেশে বিচার ব্যবস্থাকে তারা প্রহসনে রূপান্তরের অপচেষ্টা চালায়।ওবায়দুল কাদের বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে যা যা করার দরকার ছিল তার সবই করেছিল তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকার। বিচারপতি জয়নুল আবেদীনকে দিয়ে করা হয় এক সদস্যের কমিশন। সে কমিশন হাস্যকরভাবে এই হামলার জন্য পার্শ্ববর্তী দেশকে দায়ী করে দায়িত্ব শেষ করে। এভাবে এদেশে বিচার ব্যবস্থাকে তারা প্রহসনে রূপান্তরের অপচেষ্টা চালায়।এ সময়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল মতিন খসরু, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান, তথ্যমন্ত্রী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহা উদ্দিন নাছিম, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ।

LEAVE A REPLY