মুখোমুখি হওয়া প্রথম দুই বলেই চার, সূর্যকুমার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ২৬ বলে ৬৮ রানে। এর ২৬ রানই তিনি নিয়েছেন শেষ ওভারে। খুব কাছ থেকে সূর্যকুমার-ঝড় দেখা কোহলি অপরাজিত ছিলেন ৪৪ বলে ৫৯ রানে। কোহলি মেরেছেন ৩টি ছক্কা।
টস জিতে ফিল্ডিং নিয়ে একটু অবাকই করে দিয়েছিলেন হংকং অধিনায়ক নিজাকাত খান। তবে তাঁর বোলাররা শুরুতে ঝড় তুলতে দেননি ভারতীয়দের। ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা ১৩ বলে ২১ করলেও আরেক ওপেনার লোকেশ রাহুলের ব্যাটে ঠিক টি-টোয়েন্টির আমেজ ছিল না। দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৩৯ বলে ৩৬ রান করেছেন রাহুল। দলকে ৩৮ রানে রেখে ফেরা রোহিত টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে কালই সাড়ে ৩ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন।
টি-টোয়েন্টিতে ভারতের হয়ে ইনিংসের শেষ ওভারে সবচেয়ে বেশি রান করার রেকর্ড এখন সূর্যকুমার যাদবের। হংকংয়ের বিপক্ষে শেষ ওভারে ২৬ রান তুলেছেন তিনি।
রোহিতের বিদায়ের পর রাহুলকে নিয়ে ৪৯ বলে ৫৬ রান যোগ করেন কোহলি। রাহুলের বিদায়ের পর ১৬ বলে ২৬ রান করেও শেষ পর্যন্ত সূর্যকুমারের আলোয় ম্লান হলেন তিনি।
২৬ বলের ইনিংসে ৬টি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন সূর্যকুমার। ৬ ছক্কার ৪টিই মেরেছেন হংকংয়ের পেসার হারুন আরশাদের করা শেষ ওভারে। ওভারের প্রথম তিন বলেই ছক্কা মারা সূর্যকুমার যুবরাজ সিংয়ের ছয় ছক্কার কীর্তির পুনরাবৃত্তি না করতে পারলেও একটি রেকর্ড ঠিকই করেছেন। টি-টোয়েন্টিতে ভারতের হয়ে ইনিংসের শেষ ওভারে সবচেয়ে বেশি রান করার রেকর্ড এখন তাঁর।
রান তাড়ায় ৫ উইকেটে ১৫২ রানে থামে হংকং। ইনিংসের মাঝ পথ পর্যন্ত ভারতীয় ইনিংসের সঙ্গে পাল্লাই দিচ্ছিল হংকংয়ের রান রেট। তবে শেষ পর্যন্ত সূর্যকুমারের ইনিংসটাই পার্থক্য গড়ে দিল। হংকংয়ে কেউ যে সূর্যকুমারের হতে পারলেন না।
হংকংয়ের হয়ে ৩৫ বলে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেছেন বাবর হায়াত। এ ছাড়া কিঞ্চিৎ শাহ করেছেন ২৮ বলে ৩০। তবে টি-টোয়েন্টির দরকারি স্ট্রাইক রেট ছিল দুজনের ইনিংসে—জিশান আলী ১৭ বলে ২৬ ও স্কট ম্যাকেচনি অপরাজিত ছিলেন ৮ বলে ১৬ করে।ভারতের চার বোলার নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।