ভোলা নিউজ ২৪ ডটকম।। রাজধানীর সিটিং সার্ভিস হচ্ছে চিটিং সার্ভিস বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বেলা সোয়া ১টায় রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ব্র্যাক ড্রাইভিং স্কুলে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১১ জন নারী গাড়ি চালকের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘রাজধানীর সিটিং সার্ভিস হচ্ছে চিটিং সার্ভিস। গণপরিবহন নিয়ে এতো কাজ হচ্ছে, তারপরও ফলাফল আসছে না।’
বিআরটিসিতে শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সিন্ডিকেটের কারণে বিআরটিসি লাভের মুখ দেখে না। এ সিন্ডিকেট ভেঙে ফেলা কঠিন। তবুও চেষ্টা করছি বাধার প্রাচীর ভেঙে ফেলার জন্য। আমি হতাশ হবো না, যদিও হতাশ হওয়ার মতো অনেক কারণ রয়েছে। সড়কে প্রতিনিয়ত মানুষ মরছে। মন্ত্রী হিসেবে আমি দায় এড়াতে পারি না। অনেক পরিবার সড়কে প্রাণ হারাচ্ছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নারী চালকরা ঠাণ্ডা মাথায় গাড়ি চালায়। এজন্য তাদের গাড়ি চালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া আমাদের প্রয়োজন। তাদেরকে উৎসাহিত করতে হবে। বিআরটিসিতে অনেক সিন্ডিকেট, তারপরও চেষ্টা করবো নারী চালক নিয়োগ দিতে।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে বিএনপির এমন অভিযোগের জবাবে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারা কথায় কথায় বলে আচরণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে। আমি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, কই আমি তো কোথাও ভোট চাইতে যাইনি। কোনো নির্বাচনী কার্যালয়েও যাইনি। তারা (বিএনপি) শুধু বিরোধিতার জন্য এসব কথা বলে। অন্ধকারে ঢিল না মেরে প্রমাণ দেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইভিএমে যদি কারচুপির কলাকৌশল কাজ করে, জালিয়াতির কাজ করে, তাহলে চট্টগ্রামে ভোটার উপস্থিতি বাড়তো না।’ এসময় ইভিএম পদ্ধতিতে কোথায় কোথায় কারচুপি হয়েছে, তার প্রমাণ দিতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘স্যার ফজলে হাসান আবেদ জাতিকে অনেক কিছু দিয়েছেন। তার অবদান চিরস্মরণীয়। বেঁচে থাকলে তিনি আরো অনেক কিছু দিতেন। ব্র্যাকের উদ্যাগে এগিয়ে নিতে সরকার সহযোগিতা করবে। রোড সেফটির জন্য বিশ্ব ব্যাংক টাকা দেওয়ার কথা, কিন্তু কবে দেবে জানি না। আমরা আশা করবো বিশ্ব ব্যাংক প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে।’