ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট ।। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সঙ্গে তাঁর দপ্তরে সাক্ষাৎ করেছেন পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়া এস এম শাহজাদা সাজু। তিনি সিইসির আপন বোনের ছেলে।
আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে সাক্ষাৎ শেষে বের হন সিইসির ভাগ্নে।
পরে সাংবাদিকরা সাক্ষাতের বিষয়ে জানতে চাইলে এস এম শাহজাদা সাজু সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি তাঁর (সিইসি) মায়ের প্রেসক্রিপশন নিয়ে এসেছি। আমি আগেও এখানে এসেছি, তফসিল ঘোষণার অনেক আগে। তফসিলের পর আর আসিনি।’
প্রার্থী হয়ে সিইসির সহযোগিতা চেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাজু বলেন, প্রশ্নই উঠে না। এটা তো তার যেভাবে নিয়ম আছে সেভাবে চলবে। তাঁর সহযোগিতা চাওয়ার কি আছে। আমার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কখনই আলোচনা হয়নি। তিনি কোথায় কী করছেন, আমি কোথায় কী করছি সেটা আমার ব্যাপার। আমি তাঁর আত্মীয়, কিন্তু তাঁর পরিবারের কোনো অংশ নই যে এটা নিয়ে ব্যক্তিগত আলোচনা করতে হবে।
প্রার্থীতা নিয়ে সিইসির বাধা বা অনুমতি নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে এস এম শাহজাদা সাজু বলেন, প্রার্থীতা নিয়ে তাঁর বাধা বা অনুমতি নেওয়ার প্রশ্নই আসে না। এটাতো স্বাভাবিক। প্রত্যেক মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আছে। আমি তাই করেছি। আমি নিজে সাবলম্বী। আমার যেভাবে চলার সেভাবেই চলব।
জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী কিনা জানতে চাইলে শাহজাদা সাজু বলেন, ‘আমি যা ভেবেছিলাম তার থেকেও সুন্দর। একশ ভাগ আশাবাদী। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয়, গণতান্ত্রিকভাবে দেশটা পরিচালিত হয় এবং আমার এলাকার মানুষ যাতে ভালো থাকে সেজন্য আমি কাজ করব।’
পটুয়াখালী-৩ আসনে এস এম শাহজাদা সাজুসহ সাতজন মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু গতকাল মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ের সময় বিএনপির দুজনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। এর মধ্যে হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় সম্প্রতি আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে যোগ দেওয়া সাবেক সাংসদ গোলাম মাওলা রনির মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। একই আসনে বিএনপি মনোনীত অপর প্রার্থী জেলা বিএনপির সহসভাপতি আলহাজ মো. শাহজাহান খান ঋণখেলাপি হওয়ায় মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। তবে বিএনপি থেকে মনোনীত অপর প্রার্থী দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হাসান মামুনের মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়। এ আসনে বিএনপি থেকে তিনজনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। সুত্র এনটিভি অনলাইন