গোপাল চন্দ্র দে।।
ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মোকতার হোসেন বলেছেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সংখ্যালঘু নয়। সংখ্যালঘু মাদক ব্যবসায়ী, চোরা কারবারি, সন্ত্রাসী, ইভ টিজিংকারী, নারী নির্যাতন কারীরা। নিজেদেরকে কখনো সংখ্যালঘু ভাববেন না। আপনারাও এদেশের নাগরিক তাই নিজেদের সংখ্যালঘু ভাবার দরকার নেই।
সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ভোলার নলিনী দাস বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘ধর্মীয় ও আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে পুরোহিত ও সেবাইতদের দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ’ (১ম সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এস.আর.এস.সি.পি.এস কার্যক্রম, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ‘মূল্যবোধ’ বিষয়ে পুরোহিত ও সেবাইতদের ৩ দিনের প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
তিনি পুরোহিতদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, আপনার পুরোহিত ও সেবাইত আপনাদের সম্প্রদায়ের লোকজন আপনাদের কথা শোনে তাই আপনারা বাল্য বিয়ে, মাদক প্রতিরোধসহ সকল অসামাজিক কাজ থেকে আপনাদের সম্প্রদায়ের মানুষকে দূরে থাকতে সচেতন করুন। কারণ এসব একটা পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়।
অনুষ্ঠানে এ সময় এস.আর.এস.সি.পি.এস কার্যক্রম আঞ্চলিক কার্যালয় বরিশালের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা চম্পা সেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কেন্দ্র প্রকল্পর ভোলা জেলা সহকারী প্রকল্প পরিচালক নুরুল ইসলাম, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক অবিনাশ নন্দী, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সম্পাদক গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে।
এ সময় এস.আর.এস.সি.পি.এস কার্যক্রম আঞ্চলিক কার্যালয় বরিশালের সহকারী প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা আকাশ হীরার উপস্থাপনায় আরও উপস্থিত ছিলেন, ভোলা সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শান্ত ঘোষ, সম্পাদক জয় দে, ওয়ার্ল্ড হিন্দু ফেডারেশন ভোলা সদর উপজেলার সদস্য সচিব রনজীত ব্যাপারী প্রমুখ।
এবারের প্রশিক্ষণে ২৫ জন পুরোহিত ও ২৫ জন সেবাইত অংশগ্রহণ করেছেন। ৩ দিনের এই প্রশিক্ষণে বাল্য বিবাহ, যৌতুক প্রথা, সার্বজনীন মানবাধিকার, শিশু অধিকার, নারী-পুরুষ বৈষম্য ও সমতা কেন প্রয়োজন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ আইন, ইভ টিজিং, মাদকের কুফল ও প্রতিকার, সন্ত্রাস প্রতিরোধ, সমাজে ন্যায় বিচার, প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবেলা, তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা, হিন্দু আইন সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ চলবে বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত।