আদিল হোসেন তপু,ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট ॥ ভোলার লালমোহনে ভুমি অফিসের সাবেক অফিস সহকারী এএসএম মহিউদ্দিন এর বিরুদ্ধে প্রকৃত জন্ম তারিখ গোপন রেখে ভূয়া জন্ম তারিখ ব্যবহার করে সরকারি চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি সহ অবৈধ ভাবে বিভিন্ন সুযোগে সুবিধা গ্রহনের অভিযোগ উঠেছে। ভূমি অফিস সহকারী হিসাবে চাকুরী নেওয়ার সময়েও সরকারি নিয়মকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে ১৭ বছর ৪ মাস ২৯ দিন বয়সে চাকরীতে যোগদান করেন অভিযুক্ত মহিউদ্দিন। বিষয়টি নিয়ে তৎকালীন সময়ে ব্যাপক আলোরন হলেও সবাইকে ম্যানেজ করে ৩৮ বছর চাকরি করে গেছেন।
জানা যায়, লালমোহন রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের নুর মোহাম্মদ এর পুত্র মহিউদ্দিন। ১৯৭২ সালে চরফ্যাশনের চর মাদ্রাজ মাদ্রাসা থেকে সার্টিফেকেটে ( ২৯ ফেব্রুযারী ১৯৬০ সালে) দেয়া বয়স অনুযায়ী মাত্র ১৩ বছর বয়সে দাখিল পাশ করেন। কিন্তুু সরকারি চাকুরী নেওয়ার সময় তার জন্ম তারিখ পরির্বতন করে বয়স বাড়িয়ে ১ জানুয়ারি ১৯৫৯ জন্ম তারিখ দেখায়। ২৭ জুলাই ১৯৭৭ সালে সরকারি চাকুরীতে যোগদান করার সময়েও তার বয়স ১৮ বছর হয়নি।চাকরীতে যোগদানের প্রথম থেকেই তিনি বিভিন্ন জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নেয়। এমনকি চাকরীর মেয়াদ বৃদ্ধি,ভুয়া দলিল রেজিস্টেরী,বিয়ের কাবিন সহ বিভিন্ন কর্মকান্ডে একেক সময় একেকটা জন্ম তারিখ ব্যবহার করে আর্থিক সুবিধা গ্রহন করে থাকেন।
এছাড়াও লালমোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসে চাকুরীকালীন সময়ে ২০০৪ সালে কচুয়াখালী আবাসন প্রকল্পের লক্ষাধিক টাকার লোহার এঙ্গেল লোপাট করার মামলায় আসামি হয়।
শুধু তাই নয় বিভিন্ন সময়ে জমি ক্রয় করার সময়ে তিনি বিভিন্ন জায়গায় ভুয়া জন্ম তারিখ ব্যবহার করে তথ্য গোপন রেখে অবৈধ ভাবে জমি রেজিস্ট্রার করেন। যা রীতিমিত রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত এএস এম মহিউদ্দিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা। স্থানীয় আবু হেকিম ও জামাল হেকিমদের সাথে জমিজমার সংক্রান্ত বিরোধ থাকায় তারা সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা ভুয়া তথ্য দিয়ে আমাকে হয়রানী করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
এব্যাপারে ভোলা জেলা ও দ্বায়রা জজ আদালতের সাবেক পিপি এ্যাড. জাহাঙ্গির আলম বলেন, কোন তথ্য গোপন করে চাকুরি , জমি রেজিষ্টারি সহ সরকারী সুযোগ সুবিধা গ্রহন করে থাকেলে প্রমানিত হলে আসামির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের আইনের ৪২০, ৪৬৭,৪৬৮,৪০৬ ধারা অনুযায়ি ১০ বছরের কারাদন্ড হতে পারে ।
এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) বকুল চন্দ্র কবিরাজ বলেন, এএসএম মহিউদ্দিন এর বিরুদ্ধে আমার কাছে অভিযোগ আছে । বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। অভিযোগ প্রমানিত হলে যথাযথ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।