ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংস্থাসহ সবাই আসছে, এখন সরকারের বোধোদয় হয়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের দেখতে গেছেন, ত্রাণ দিচ্ছেন কিন্তু মিয়ানমারে নির্যাতনের বিরুদ্ধে সংসদে নিন্দা করেনি সরকার।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১০ম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। এই সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী যুবদল।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সংসদে পাস করেছেন রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে হবে। কিন্তু নিন্দা জানাননি। গণহত্যা বন্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করতে হবে, তা করেননি। আজ বোধোদয় হয়েছে, তার আগে কী বলেছেন, আমাদের দেখতে হবে, এখানে (রোহিঙ্গা) সন্ত্রাসী আছে।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সরকার কন্সপিরেসি ফোবিয়ায় (ষড়যন্ত্রকে ভয়) ভুগছে। কোনো কিছু হলেই আতঙ্কে থাকে। এসব বাদ দিয়ে জনগণের কথা ভাবুন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কাজ করুন। আপনারা এটা (রোহিঙ্গা) নিয়ে রাজনীতি করতে চান বলেই এটা বলেছেন যে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সাথে যৌথভাবে সন্ত্রাস মোকাবিলা করবেন, কাদের বিরুদ্ধে? যারা নির্যাতিত হচ্ছে, নারী শিশু তাদের বিরুদ্ধে?’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নির্যাতন হচ্ছে, জাতিগতভাবে নিধন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আর বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য অসংখ্য নেতাকর্মীকে হত্যা, গুম, মামলা করা হচ্ছে। এ মামলাগুলো বেশিরভাগই ১/১১-এর সময়ে হয়েছে। আপনাদের মামলা তুলে নিলেন আর আমাদের মামলা বাড়াচ্ছেন?’
বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, ‘জনগণকে রুখে দাঁড়াতে হবে এবং এটা একমাত্র ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল দ্বারাই সম্ভব। আমরা নির্বাচন চাই, তবে ২০১৪ সালের মতো নয়। তারা জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। শুধু ক্ষমতায় থাকার জন্যই অশান্তি সৃষ্টি করে রেখেছে। সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হোক, সহায়ক সরকার দিয়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন, অথবা জনগণের কাছে দায়ী হবেন, জনগণ আপনাদের ক্ষমা করবে না।’
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।