ভোলা নিউজ২৪ডটকম।। কিছুদিন আগেই নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে জেলেরা জাল নিয়ে নদীতে নামতেই ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে পাঙাশ মাছ। হঠাৎ পাঙাশ মাছ পাওয়ায় দামও ভালো হাসি ফুটেছে জেলেদের মুখে।
ইলিশের প্রজনন মৌসুম উপলক্ষে গত ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা ছিল। সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে জাল নামাতেই ইলিশের পাশাপাশি মিলছে বিভিন্ন সাইজের ঝাঁকে ঝাঁকে পাঙাশ। কোনো জেলেই ফিরছেন না খালি হাতে।
এদিকে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার পর দুইদিন নদীতে ভালো ইলিশ পেলেও এখন মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। তবে তাদের জালে ইলিশের পরিবর্তে বিভিন্ন সাইজের পাঙাশ ধরা পড়ছে জেলেরা বলছেন এতো পাঙ্গাস মাছ জালে কখনো উঠতে দেখেনি ।
ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের তুলাতুলি মৎস্যঘাটে কথা হয় জেলে জামাল মাঝির সঙ্গে। তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে মেঘনায় গিয়ে আমরা ভালো পরিমাণে পাঙাশ পাচ্ছি। এতে জেলেরা অনেক খুশি।
মাছ বিক্রেতা ইউনুস বলেন, গত বছর আমরা এত পরিমাণ পাঙাশ পাইনি। এবার আমরা বিভিন্ন সাইজের অনেক বেশি পাঙাশ পাচ্ছি।
একই এলাকার কবির মাঝি বলেন, অভিযানের পরে আমরা দুইদিন মেঘনায় কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পেয়েছিলাম। কিন্তু এখন আর মিলছে না। তবে নদীতে অনেক পাঙাশ পাচ্ছি। আর দাম ভালো হওয়ায় লাভবানও হচ্ছি।
সুমন ও মনির মাঝি জানান, প্রতিদিন বিভিন্ন সাইজের ১৫ থেকে ২০/২৫ টি পাঙাশ তাদের জালে ওঠে। পরে ঘাটে নিয়ে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। এতো মাছ উঠায় খুশি তারা।
মিজান মাঝি বলেন, মেঘনায় ঝাঁকে ঝাঁকে পাঙাশ ধরা পড়ায় মাছ বিক্রি করে নিষেধাজ্ঞার সময় করা ধারদেনা পরিশোধ করছেন। এখন যদি আরও কিছুদিন এভাবে নদীতে পাঙাশ মেলে তাহলে ভবিষ্যতের জন্য ভালো টাকা জমা করতে পারবেন।
তুলাতুলি মৎস্যঘাটের ব্যবসায়ী মো. মঞ্জু ইসলাম বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষের পর থেকে জেলেরা নদীতে ভালো পাঙাশ পাচ্ছেন। ঘাটে নিয়ে আসলে আমরা নিলামের মাধ্যমে কিনে থাকি। ওই পাঙাশ আমরা বরিশাল, খুলনা ও ঢাকার মোকামে টাকা বিক্রি করছি।
তিনি আরও বলেন, তিন-চার কেজি ওজনের পাঙাশ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, পাঁচ-ছয় কেজি ওজনের পাঙাশ ৬০০ থেকে ৭০০ এবং ১২ কেজি তার তার বেশি ওজনের পাঙাশ ৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
ভোলা সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জামাল হোসাইন বলেন, এবার ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা সফল হওয়ায় মেঘনায় জেলেরা ব্যাপক পাঙাশ পাচ্ছেন। এতে তারা আগের লোকসান পুষিয়ে আবারও ঘুড়ে দাঁড়াবেন।