মা ও শিশুর কালি মাখা ভাইরাল হওয়া ছবিটি চকবাজারের নয়

0
1091

ভোলা নিউজ ২৪ডটনেট।। ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে  ঘুরে বেড়াচ্ছে মা ও শিশুর কালি মাখা একটি ছবি। রাজধানীর চকবাজারে আগুনে পুড়ে যাওয়া মা-শিশুর ছবি বলে সমবেদনা জানিয়ে অনেকেই শেয়ার করছেন।

প্রকৃতপক্ষে এই ছবিটি চকবাজারের ঘটনার নয়।এই ছবিটি তুলেছেন চিত্রশিল্পী শেহজাদ নুরানী। ছবিটি কসমস জার্নালসহ আরো কয়েকটি জার্নালে প্রকাশিত হয়।

কসমস জার্নাল ২০১১ সালের ২২ জুলাই ‘চিলড্রেন অফ দ্য ব্লাক ডাস্ট, চাইল্ড লেবার ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে ছবিটি প্রকাশ করে। এই ছবিসহ আরও কিছু ছবি প্রকাশ করেছে কসমস।

এর বর্ণনায় কসমস বলেছে, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় এবং এর আশেপাশে গড়ে উঠেছে অনেক কারখানা এবং ওয়ার্কশপ। এসব জায়গায় হাজার হাজার নারী ও শিশু কাজ করেন।

নারী এবং শিশুরা দিনভর এসব জায়গায় পুরনো ব্যাটারি থেকে প্রয়োজনীয় উপাদান সংগ্রহ করে থাকেন। পরবর্তীতে এগুলো কারখানায় পাঠানো হয় পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করে তৈরি করার জন্য।

যখন ব্যবহৃত ব্যাটারি ভাঙা হয় তখন যেসব শিশু শ্রমিক এগুলো ভাঙে বা শ্রমজীবি মায়ের সাথে এসে খেলাধুলা করে তখন অসংখ্য কার্বনযুক্ত ধুলা তাদের শ্বাসনালী দিয়ে প্রবেশ করে। তাদের মুখমন্ডলসহ পুরো শরীর মেখে যায় কালো কার্বনে।

এসব কাজের জন্য তারা পর্যাপ্ত টাকায় পায় না বলে কসমস উল্লেখ করেছে। এক ডলার আয় করতে হলে শিশু শ্রমিকদের চার থেকে পাঁচদিন কাজ করতে হয়। কসমসের পাশাপাশি ম্যাগাজিন ডট জেএইএসপিএইস এবং পিন্টারেস্ট ডট কম কালিমাখা মা ও শিশুর ছবিটি প্রকাশ করে।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর চকবাজার এলাকার নন্দকুমার দত্ত সড়কের চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পেছনের একটি ভবনে বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা ১০ মিনিটে আগুন লাগে। রাত সাড়ে ৩টার দিকে আগুনের ভয়াবহতা কিছুটা কমলেও আবারও বেড়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট একযোগে কাজ করে বুধবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। উদ্ধার অভিযান চলে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। এ ঘটনায় অন্তত ৬৭ জন নিহত হন। অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে যে নয়জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন, তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

 

LEAVE A REPLY