শাহরিয়া আহমেদ শাকিবঃ গত কয়েক দিন ধরে আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। রাত শেষে ভোরে আলোর ফুটলেও কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে থাকে চারপাশ। একটু বাতাস বইলেই কেপে উঠছে শরীর।আর তাতে বুঝা যায় দরজায় কড়া নাড়ছে শীত। আর শীত মানেই ঘুমানোর জন্য সবচেয়ে উপযোগী ঋতু। তবে সেই ঘুম তৃপ্তির সাথে শীত মোকাবেলা করে ঘুমাতে প্রয়োজন হয় শীতবস্ত্রের। যেই বস্ত্রের সবচেয়ে পছন্দের তালিকায় থাকে লেপ বা কম্বল। আর তাই শীতের এই আগমনী বার্তায় ব্যস্ততা বেড়েছে বরিশালের বিভিন্ন লেপ-তোষক তৈরির কারিগরদের এবং লেপ কম্বলের রেডিমেড দোকানে।
আশ্বিনের শেষের দিক থেকে জনপদ থেকে জনপদে শীতের আগমনী বার্তার কড়া নাড়া শুরু হয়। শীত জেকে বসার আগে তাই লেপ-তোষক তৈরির ধুম লেগেছে বরিশালের সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে। ফলে লেপ-তোষকের দোকানে বাড়ছে বেচা-কেনা। এসব দোকানের কর্মচারীদের এখন অলস সময় কাটানোর একদম ফুরসত নেই। বরিশাল সদর উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও পাড়া-মহলাতে লেপ-তোষক তৈরির কারিগররা এখন হাঁক-ডাক করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অনেকে নিজেরাই গিয়ে লেপ-তোষক তৈরির কারিগরদের খুঁজে বের করে লেপ তৈরির জন্য ঠিক করছেন। শুধু লেপ-তোষক তৈরিই নয়, শীতের আগমনী বার্তার সঙ্গে মানুষের পোশাক-পরিচ্ছদ ও ব্যবহার্য সামগ্রীতেও পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। পাতলা পোশাকের পরিবর্তে অনেকেই মোটা জামার দিকে ঝুঁকছেন। তাই এখন কদর বাড়তে শুরু করেছে গরম পোশাকেরও। এ ছাড়া শীতের সময় কাঁথা, কম্বল, চাদর বা শাল, শীতের টুপি, হাতমোজা, মাফলার, জাজিম ও কার্পেটের ব্যবহার ও বিক্রি বেড়ে যায়। ছয় ঋতুর এই দেশে শীতের আগমনী বার্তা শীতকালে হওয়ার কথা থাকলেও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে তা এখন ঋতুর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে না।
আশ্বিনের শেষ সপ্তাহে ও কার্তিকের শুরুতেই শীতের আমেজ দেখা যাচ্ছে, ভোরে হালকা কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। সূর্য উঠার ঘণ্টা দুই পরেই আবার বদলে যাচ্ছে প্রকৃতির এমন রূপ। তখন রোদের তাপে শীতের কুয়াশা দূর হয়ে গরমে ঘাম ঝরছে বরিশালের বিভিন্ন এলাকার মানুষের। সন্ধ্যা নামার পরপরই প্রায় সারারাত মাঝারি শীতের কারণে বাসা-বাড়িতে শীত নিবারণের জন্য পাতলা কাঁথা ব্যবহার শুরু হয়েছে ইতোমধ্যেই।তবে বেশিরভাগ মানুষই শীত নিবারণে সাধারণত নির্ভর করেন লেপ-তোষকের ওপর। এ কারণে লেপ-তোষকের কারিগরদেরও শীত আসার আগে থেকেই শুরু হয় ব্যস্ততা।