আদিল হোসেন তপু,ভোলা নিউজ২৪ডটনেট॥ দিন দিন বয়াভহ আকারে বাড়ছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। রাজধানী থেকে শুরু করে জেলা শহর গুলোতেও ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
গত ১ মাসেই দ্বীপ জেলা ভোলায় ডেঙ্গু জ্বরে ১০ জন রোগী আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে রোগ সনাক্ত করার জন্য হাসপাতালে নেই ডেঙ্গু শনাক্তের ব্যবস্থা। তবে ডেঙ্গু রোগে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জেন।
ভোলা সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের কামাল মিয়া (৩০)।ঢাকাতে বেড়াতি গিয়েছিল কয়েকদিনের জন্য। বাড়িতে এসে জ্বরে আক্রান্ত। পরীক্ষা করার পরে দেখে ডেঙ্গু জ্বর। তারপর থেকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি। শুধু কামাল হোসেন নয় তার মতো এখন অনেকেই ঢাকা থেকে ডেঙ্গু রোগের ভাইরাস নিয়ে আসছে। আক্রান্ত হচ্ছে ডেঙ্গু রোগে।
ভোলা সিভিল সার্জেন ডা. রথীন্দ্রনাথ মজুমদার জানায়, প্রতিদিন এই হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসে কয়েক শতাধিক রোগী। সেবা নিতে আসা আগত রোগীদের রুটিন করে প্রতিদিন সচেতন করা হচ্ছে ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে । সেখানে বলা হচ্ছে ডেঙ্গু জ্বরে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। কিছু নিয়ম কানুন মেলে চললে কেউ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হবে না বলে জানানো তিনি।
কিন্তুু তারপরের এই হাসপাতালে প্রতিনিয়ত ভর্তি হচ্ছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীরা। গত ১ মাসে ১০ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। যার মধ্যে অধিকাংশ না ঢাকাতে বেড়াতে কিংবা ঘুরতে গিয়ে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন ভোলা সদর হাসপাতালে।
রোগীর সাথে আগত আত্মীয় কবীর হোসেন, ইসমাইল হোসে,জান্নাতুল ইসলাম সহ আরো অনেক স্বজনরা জানায়, আমরা ভোলাবাসী খুব আতঙ্কের মধ্যে আছি। সামান্য জ্বর হলেও ভর্তি করাচ্ছি হাসপাতালে। কিন্তুু চিকিৎসা নিতে গিয়ে পরতে হচ্ছে বিরম্বনার মধ্যে। হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বর পরীক্ষা করার কোন ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হচ্ছে ক্লিনিকে টেস্ট করাতে হচ্ছে। ফলে অনেক রোগী হয়রানি হতে হচ্ছে।
ভোলা সদর হাসপাতাল সিভিল সার্জেন ডা. রথীন্দ্রনাথ মজুমদার আরো জানায়,ডেঙ্গু জ্বরে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়াও ভোলা সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য যে উপাদনগুলো দরকার তার জন্য ঢাকাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় জানানো হয়েছে । দু-একদিনের মধ্যে কিডস গুলো চলে আসলে হাসপাতালেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারবো রোগীরা। ভোলায় এই পর্যন্ত ১০জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৮ জন ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। ৫ জন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ীতে ফিরে গেছে। ২ জনকে ঢাকাতে রেফার করা হয়েছে। বাকি ৩ জন বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।