ভোলা নিউজ২৪ডটকম।। ভোলার আওয়ামী লীগে বা অঙ্গ সংগঠনে কোনটির সঙ্গে সম্পৃক্ত না থেকেও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের শীর্ষ পদে আসতে কেন্দ্রে জোর তদবির করছেন ঢাকায় থাকা কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ সদস্য সাইফুল ইসলাম নয়ন।
এ নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে জেলার বর্তমান ও সাবেক নেতাকর্মীদের মধ্যে। স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতির মর্যাদায় আহ্বায়ক বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইউনুছ ও সাবেক সম্পাদক (যুগ্ম আহ্বায়ক) বর্তমান পৌর আওয়ামী লীগের সম্পাদক শাহ আলী নেওয়াজ পলাশ জানান তারা ছাত্রলীগের দায়িত্ব পালন করে ছিলেন।
পরবর্তীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগেরও দায়িত্ব পালন করেন। সংগঠন করেন নি বা সর্ম্পক্ত নন এমন কাউকে দায়িত্ব দিলে তা দলের জন্য শুভ হয় না বলেও মনে করেন সাবেক এই নেতারা। হঠাৎ আলোচিত ব্যক্তির নাম শুনে তাৎজ্জব বুনে জানান জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্তমান ও সাবেক নেতারা। চরফ্যাশন পৌর আওয়ামী লীগের সম্পাদক দলের নিবেদিত সংগঠক অধ্যক্ষ মনির আহমেদ শুভ্র জানান, ওই ছেলের বাড়ি চরফ্যাশন হলেও ওই নামের কাউকে তিনি বা দলের কেউ চিনেন না ও জানেন না। কোন এক সময় এদের বাড়ি চরফ্যাশনের আমিনাবাদে থাকলেও দীর্ঘ সময় এরা ঢাকায় স্থায়ী বসবাস করছে বলে শুনেছেন। জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের পদে আসছেন শুনে অধ্যক্ষ শুভ্রও আবাক ও বিস্ময় প্রকাশ করেন।
জানা গেছে, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সম্পাদক পদে জন্য মাঠে ৫ জনের নাম শোনা যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত এদের ডিঙ্গিয়ে তদবিরে সাইফুল ইসলাম নয়নের নাম শীর্ষে রয়েছে বলে দলের একাথিক সূত্র নিশ্চিত করে। জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবিদুল আলম জানান সংগঠনের জন্য টানা ৭ বছর কাজ করে যাচ্ছেন। এর আগে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।
বর্তমানেও স্বেচ্ছাসেবক লীগের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। নতুন কাউকে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা মেনে নিবে না। একই কথা জানান সদ্য বিলুপ্ত আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক ত্যাগী নেতা আবু সায়েম। কেন্দ্রের অনুমতি না থাকায় দীর্ঘকাল ধরে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি বা সম্মেলন হচ্ছে না। তার পরও জেলা থেকে করা আহ্বায়ক কমিটি সংগঠনের সাংগঠনিক কাজ করে গেছেন বলে জানান আবু সায়েম ও আবিদুল আলম। একই কথা জানান এক সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃত্বদানকারী মিজানুর রহমান। এরা চান ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন হোক। জেলা ও চরফ্যাশন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতারাও বিষয়টি শুনে অবাক হচ্ছেন। চরফ্যাশন উপজেলার আমিনাবাদ এলাকার মোঃ খোরশেদ সরদারের ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম নয়ন। সম্প্রতি জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ফজলুল কাদের মজনুর নাম ব্যবহার করে তিনি ওই পদেও জন্য কেন্দ্রে তদবির করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। নয়ন জানান, তিনি কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য। ১৯৯৫ সালে ঢাকা কলেজে পড়ার সময় থেকে রাজনীতিতে যুক্ত। কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্পাদকের সঙ্গে তার ৭ বছর ধরে সম্পর্ক রয়েছে। এ কারনেই তিনি ভোলা জেলা কমিটির জন্য সভাপতি পদে প্রার্থী রয়েছেন। অনেক প্রার্থীর মধ্যে তিনিও একজন।
https://sangbad.net.bd
থেকে সংগ্রহীত