ভোলায় স্কুলের কক্ষ থেকে কয়েক লাখ টাকার নিষিদ্ধ গাইড জব্দ করেছে ভ্রাম্যমান আদালত

0
307

অমি আহামেদ/ভোলা নিউজ২৪ডটনেটঃ ভোলা ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে শহরের মাসুমা খানম বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী কমন রুম থেকে বিক্রির জন্য রাখা কয়েক লক্ষ টাকার অবৈধ গাইড-নোট জব্দ করা হয়েছে। এ সময় গাইড-নোট বিক্রির দায়ে হাসান বুক হাউজের মালিককে দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে দুই মাস কারাদন্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমান আদালত। সোমবার বিকেলে শহরের প্রাণকেন্দ্রে মাসুমা খানম বালিকা বিদ্যালয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুহুল আমিনের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।

স্থানীয়রা জানান, শহরের প্রাণকেন্দ্রে বাংলাস্কুল মোড়ে বই বিক্রির মার্কেট। এ মার্কেটের পেছনে মাসুমা খানম বালিকা বিদ্যালয়। হাসান বুক হাউজ নামের একটি বইয়ের দোকান অবৈধ নোট-গাইড বিক্রির জন্য প্রসিদ্ধ। হাসান বুক হাউজের মালিক মো. কামাল উদ্দিন অবৈধ নোট-গাইড রাখেন মাসুমা খানম বালিকা বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে। গত জানুয়ারী মাস থেকে সেখানে নোট-গাইড রাখছেন। এ কক্ষটির ভাড়া কমপক্ষে ৬-৭হাজার টাকা। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে কামালের সরকারি স্কুলের সামনের বাসায় গত কয়েক দিন আগে দুই ট্রাক নিষিদ্ধ গাইড বই মওজুদ করা হয়েছে। যা আগামী মাস থেকে বাজারে ছাড়া হবে।
স্থানীয়রা আরও জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইব্রাহীম অবৈধভাবে গত জানুয়ারী মাস থেকে ছাত্রীদের কমন রুম বন্ধ করে দিয়ে হাসান বুক হাউজের কামালের কাছে রুমটি ভাড়া দিয়ে টাকা নিজের পকেটে ভরছেন। বিদ্যালয় ফান্ডে কোনো টাকা রাখছেন না। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও বিদ্যালয় অংশের বেতন দিচ্ছেন না।
এসব খবর শুনে সোমবার দুপুরে ভোলা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুহুল আমিন তদন্তে আসেন বিদ্যালয়ে। ম্যাজিস্ট্রেট আসার খবর শুনে প্রধান শিক্ষক অফিস সহকারী ও ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিনকে সরিয়ে দেন। বলেন, তাঁদের কাছেই তালার চাবি রয়েছে। তাই ইচ্ছে থাকলেও খোলা সম্ভব নয়। পরে ম্যাজিস্ট্রেট বাড়তি একটি তালা এনে রুমে লাগিয়ে দেন। পরে বিকেল পাঁচ টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসলে প্রধান শিক্ষক তালা খুলে দেয়। পরে সেখানে প্রায় ৫-৬ লাখ টাকা অবৈধ গাইড-নোট পাওয়া যায়।
এছাড়াও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্কুলের অন্যান্য রুম নাম মাত্র ভাড়া দেখিয়ে বাকি টাকা আত্মসাৎ করছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইব্রাহীম বলেন, নোট-গাইড বিক্রির জন্য বিদ্যালয়ের কোনো কক্ষ তিনি ভাড়া দেননি। তবে কামাল উদ্দিন মাঝে-মধ্যে কক্ষটিতে কিছু বই রাখছেন। এ জন্য কোনো ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুহুল ইসলাম বলেন, নোট-গাইড বিক্রি অবৈধ। বিদ্যালয়ের রুম ভাড়া দিয়ে প্রধান শিক্ষক অন্যায় কাজে সহায়তা করছেন। তারা গুদাম থেকে বিপুল পরিমাণ নোট-গাইড জব্দ করেছে। এ সময় কামাল উদ্দিনের দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়ছে। স্কুলের ওই রুমটিকে সিলগালা করে রাখা হয়েছে। এবং প্রধান শিক্ষক কেনো বিদ্যালয়ের কক্ষ অবৈধ নোটগাইড বিক্রেতাকে ভাড়া দিয়েছেন তার জন্য জেলা প্রশাসক তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছেন। তিনিই এব্যাপারে সিদ্ধান্ত দিবেন।

LEAVE A REPLY