ভোলায় ল্যাংটা চোরের আতংক, ঘুম নেই চোখে

0
2254

অমি আহমেদ,ভোলা নিউজ ২৪ ডট নেট : এটা কোন কমিডি ছবি বা নাটকের গল্প নয় ভোলা শহরে অভিনব কায়দায় দিনে-রাতে উলংঙ্গ হয়ে বিভিন্ন বাড়িতে ডুকছে এই চোর। সুধু চুরি করে সুষ্ঠ নয় এই চোর চুরি করে সেই বাসায় গোসল করে তাদের জামা কাপড় পরে গায়ে বডি স্পে করে সাধারণ মানুষের মত বের হয়। সম্প্রতি ভোলা শহরের বেশ কয়েকটি ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। তার মধ্য আলোচিত ও অন্যতম  ঘটনা  হচ্ছে ল্যাংটা চোরের আবিরভাব। ভোলা সহরের প্রান কেন্দ্র ভি এ ভি এস রোডে। সম্প্রতি বেশ কয়টি বাড়িতে গত ১০/১২ দিনে এসব ঘটনা ঘটেছে । বাড়ির মালিক এর ছেলে মো: সাদী জানান,রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে জানালার গ্রিল কেটে ডুকে ভাড়াটিয়া  মহিলাকে দা-দিয়ে আঘাত করে এবং তার ছোট ছেলেকে গলায় ধারালো দা ধরে জিম্মি  করে। ছেলেকে দিয়ে বাবার হাত-পা বাধে। তারা  ভয়ে ঘড়ে থাকা ৭০হাজার  টাকা দিয়ে দেয়। তখন সেই চোর পুরো উলঙ্গ অবস্থায় ছিলো। ভোর হওয়ার অগে গোসল করে এবং তাদের জামা,কাপর পরে  সাধারন  ভবে বেড় হয়ে যায়।

মুসলমান পাড়া ৭নং ওয়ার্ড এর সাইফুল আলম বাপ্পি জানান, ১৩ তারিখ  হোসনেয়ারা বেগম (৬৮) তার মুখে মরিচ এর গুড়া ছিটিয়ে গলা থেকে ৭/৮ আনা ওজনের চেইন নিয়ে যায়। একই সাথে তার বোনকে মরিচ এর গুড়া মারলে সে দৌড়ে ভিতরের রুমে চলে আসে। এসময় চোররা  তাকে ঘুশি মেরে তার গলায় থাকা ১ বড়ি ওজনের চেইন নিয়ে যায়। পুলিশকে জানানো হয়। আতংকের কারনে মামলা করেনি।

ভিএভিএস রোডে মোঃ সায়েম চৌধুরি বলেন,চোর হয়তো বেশি দুরের কেউ নয়। চোরকে কেউ তথ্য দিয়ে সাহায্য করে আসছে তাদের ধরতে হবে। চুরি হওয়ার আগে  তাদের বাসার ছাদে  দুই জন ব্যক্তিকে দেখা যায়। তার পরদিন ঘটনা ঘটে।আমরা এলাকা বাসির পক্ষে প্রতিদিন রাতে পাহাড়া দেই।ওয়াস্টেন পাড়ার বিপ্লব পাল জানায় রাত ৩টা থেকে ৪টা এই সময় ঘরে ডুকে আলমারি ভেঙ্গে  নগদ ৩০ হাজার টাকা  ৩/৪ বড়ি সর্ন নিয়ে জায়।ঘর থেকে বেড় হওয়ার সময় তার ভাতিজিকে দেখলে পালিয়ে যায়।

ভিএভিএস রোডে জেলা আওয়ামীলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আমির হোসেন বাচ্চু বলেন,আমরা জিম্মি চোরের কাছে-রাতে ঘুমাতে ভয় হয় কারন ৩০ বছরে এই প্রথম দেখলাম এই ঘটনা। আমরা নিজেদের নিরাপদ মনে করি না ৪/৫ তলা উপরে থাকলেও চুরি হচ্ছে। আমরা এলাকা বাসি সবাই মিলে দিন-রাতে পাহাড়ার ব্যবস্থা করছি।আমাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে তাতে আমরা নিরাপদ থাকতে পাড়ি। পুলিশকে আমদের সাহাস্য করতে হবে। রাত হলেই কিছু বখাটে ছেলে পৌসভার লাইট ভেঙ্গে ফেলে এবং অন্ধকারে আড্ডাদেয় তাদের এ আড্ডা বন্ধ করতে হবে। আমাদের ছেলেরা রাত হলেই  পুলিশের সাথে পাহাড়া দেয় এতে একটু কমেছে বলে ধারনা করা যায়। মনে হয় এলাকায় চোরের পিছনে  এলাকার কিছু  লোকের ইন্দন আছে।প্রশাসনের কাছে এলাকার বাসির দাবি,  এলাকায় বহিরাগতদের  আড্ডা বন্ধ করতে হবে।বিষেস করে অন্ধকারে আড্ডা বন্ধ করতে হবে।

ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মো: ছগির মিয়া ভোলা নিউজ ২৪ ডট নেটকে জানান,ইতি মধ্যে আমরা ৪টি মামলা গ্রহন করেছি। এসব ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে অন্তত ২২জনকে আটক করা হয়েছে। প্রতি রাতে আমাদের মোবাইল টিম প্রতিটি এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে। যদিও চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে,এটা স্বিকার করছি। তবে পুলিশের অভিযান আগের তুলনায় বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রতিটি ঘর মালিককে সচেতন  এবং সতর্ক থাকতে হবে। সবার সহযোগীতা পেলে চুরি বন্ধ করা সম্ভব হবে এবং চোর আটক করতে পারবো।

LEAVE A REPLY