স্টাফ রিপোর্টারঃ ভোলায় যক্ষা নিয়ন্ত্রনে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে সাংবাদিকদের ভূমিকা শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতি (নাটাব) এর আয়োজনে ভোলা জেলা রিপোটার্স ইউনিটিতে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় ভোলা জেলা নাটাবের সভাপতি ও দৈনিক আজকের ভোলার সম্পাদক মুহাম্মদ শওকাত হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক সিভিল সার্জন ও জেলা নাটাবের সম্পাদক ডা. আবদুল মালেক। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ডেইলি ইন্ডিপেন্ডেন্ট এর জেলা প্রতিনিধি কামাল উদ্দিন সুলতান, বিডি নিউজ ২৪ জেলা প্রতিনিধি আহাদ চৌধুরী তুহিন, সময় টিভি জেলা প্রতিনিধি নাসির লিটন, প্রথম আলো প্রতিনিধি নেয়ামত উল্লাহ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি আফজাল হোসেন, কালবেলা জেলা প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম, বাংলানিউজ দেশটিভি জেলা প্রতিনিধি ছোটন সাহা, চ্যানেল ২৪ জেলা প্রতিনিধি আদিল হোসেন তপু প্রমুখ। এসময় বক্তারা বলেন, যক্ষা একটি প্রচীন ঘাতক ব্যাধি। যার ফলে প্রতিবছর বাংলাদেশে বহু লোক এ রোগে এখনো মৃত্যুবরন করছে। পূর্বে যক্ষা রোগের কোন চিকিৎসা ছিলে না। একবার যার যক্ষা হত সে কখনো বাঁচবে সে আসা কখনো চিন্তা করতো না।
কিন্তু বর্তমানে যক্ষার চিকৎসা ও ওষুধ সম্পূর্ন বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। যক্ষা সম্পর্কে অনেক সামাজিক কুসংস্কার রয়েছে। অনেকে যক্ষাকে বংশগত ও ছোয়াছে রোগ বলে মনে করে। যক্ষা রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারের সাথে সম্পর্ক রাখতে চায় না। সচেতনতার অভাবই এর প্রধান কারন। চিকিৎসা বিজ্ঞানের এত উন্নতি সত্ত্বেও বিভিন্ন কারনে যক্ষা রোগী চিহ্নত করন ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। যখন কোনো ব্যক্তি যক্ষার লক্ষন থাকা সত্ত্বেও সময়মত কফ পরীক্ষা ও ডাক্তারের পরামর্শের জন্য স্বাস্থ্য কেন্দ্র আসেন না,তখন সেই ব্যক্তির (সম্ভাব্য যক্ষা রোগী) কফ,হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে জীবানু বের হয়ে বাতাসে মিশে শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে অন্য ব্যক্তির ফুসফুসে প্রবেশ করে এং ঐ ব্যক্তিকে প্রথমে সংক্রমিত ও পরে আক্রান্ত করে। এসময় তিনি আরো বলনে দেখা যাচ্ছে অনেক ব্যক্তি যক্ষায় আক্রান্ত হলে চিকিৎসা গ্রহন করে থাকে, কিছুদিন ঔষধ সেবন এর পর যক্ষা নিরাময়ের পর্যায় তখন ঔষধ সেবন বন্ধ করে দেয়। এতে করে সেই ব্যক্তি এমডিআর আক্রান্ত হয়ে পরে। ঐ আক্রান্ত ব্যক্তিকে যক্ষা থেকে বাচাঁনো অনেক কষ্টকর হয়ে পরে।
এজন্য যে কোন ব্যক্তি যক্ষা আক্রান্ত হলে কারো তত্ত্বাবধায়নে যক্ষা ব্যক্তিকে ঔষধ সেবন এর দায়িত্ব দিয়ে থাকে। যা ৬ মাস পর্যন্ত একটানা চালিয়ে যেতে হবে তাহলে যক্ষা রোগ থেকে মুক্তি মেলবে। নাটাব ১৯৪৮ সাল থেকে যক্ষা নিয়ন্ত্রনে কাজ করছে। আপনারা সাংবাদিক আপনারা যদি গনমাধ্যমে বেশিবেশি প্রচার এবিষয়গুলো তবে মানুষ সচেতন হবে