রাকিব উদ্দিন অমি,ভোলা নিউজ২৪ডটনেট ।। ভোলায় ফনীর আঘাতে সাত উপজেলায় প্রায় শতাধিক কাঁচা ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।নিহত হয়েছে এক নারী ।
দ্বীপ জেলা ভোলায় শুক্রবার মধ্যরাত থেকেই ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাব শুরু হয়। ভোলায় ফনীর প্রভাবে ভারী বৃষ্টি ও বাতাস হয়।ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে জেলার সাত উপজেলায় বিধ্বস্ত হয়েছে অর্ধশতাধিক বসতঘর।গাছ পড়ে ঘরচাপা পড়ে মারা গেছেন রাণী বেগম (৫৫) এক নারী। এছাড়া শনিবার সকালে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে মাইনুদ্দিনে একটি ট্রলার ডুবে যায়। এতে ৪-৫ জন আহত হলেও কেউ নিখোঁজ হয়নি।
ভোর থেকে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর, কুকরি মুকরি, চর পাতিলা, মুজিবনগর, লালমোহন উপজেলার কচুয়ালীর চর, মনপুরার কলাতলীর চরসহ বেশ কিছু এলাকায় বাতাসের গতিবেগ আরও বেড়ে যায়। এসব এলাকায় অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। জোয়ারে উপকূলবর্তী নিম্নাঞ্চল গুলো প্লাবিত হয়েছে।
ভোলার আবহাওয়া অফিসের সহকারী কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণী বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থান করছে। ভোলায় মধ্যরাত থেকে ৪৮.৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বর্তমানে ৫৫/৬০ গতিবেগে বাতাস হচ্ছে। বাতাসের গতি আরও বাড়তে পারে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ফণীর তান্ডপে/আঘাতে দ্বীপ জেলা ভোলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিস্তীর্ণ ফসলি জমি, রাস্তা-ঘাট ও গাছপালা। বিপর্যস্ত হয়ে হয়ে পড়েছে জনজীবন।