ভোলা নিউজ২৪ডটকম।। ভোলায় জেলা বিএনপির সমাবেশে কর্তব্যরত পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালানোর ঘটনাকে দলটির ‘পূর্বপরিকল্পিত’ বলে দাবি করেছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
রোববার (৩১ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পুলিশ সুপার বলেন, বেলা ১১টার দিকে ভোলা শহরের মহাজপট্টি জেলা বিএনপির কার্যালয়ে একটি প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে জেলা বিএনপি। ওই সমাবেশে ভোলার বোরহানউদ্দিন, দৌলতখানসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে চার-পাঁচ হাজার লোক জড়ো করে উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবে ভোলা সদরের জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এভাবে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে তারা সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন উসকানিমূলক স্লোগান ও বক্তব্য দেন এবং জনমনে ত্রাস সৃষ্টি করেন।
এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ তাদের নেতাকর্মীদের জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য বারবার অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তারা কোনো কর্ণপাত না করে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের সময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ইট-পাটকেল, কাচের বোতল, লাঠি-সোটাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে কর্তব্যরত পুলিশের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালান। এতে ভোলা মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আরমান হোসেনসহ ১০ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে আত্মরক্ষার্থে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পুলিশ ৩০ রাউন্ড টিয়ারশেল ও ১৬৫ রাউন্ড শটগানের কার্তুজ ফায়ার করে বিএনপির নেতাকর্মীদের ছাত্রভঙ্গ করে দেয়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, এ ঘটনায় মো. আব্দুল রহিমসহ (৩০) অনেকে আহত হন। তাদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুর রহিমকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা পুলিশকে জানিয়েছেন, মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে রহিম মারা গেছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।