আদিল হোসেন তপু,ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট : ভোলার লালমোহন উপজেলা থেকে পাচারকালে প্রায় ৬’শ সেপ্টি সরকারি কেওড়া কাঠবোঝাই একটি কাভার্ডভ্যানসহ তিন জনকে আটক করেছে বন বিভাগ। আটককৃতরা হলেন মনপুরা উপজেলার সাকুচিয়া এলাকার কারুজ্জামান ডালিম, কাভার্ড ভ্যানের ড্রাইভার চরফ্যাশন উপজেলার চরকলমী এলকার মো. রফিক ও হেলপার একই উপজেলার নজরুল নগর এলকার মো. সোহাগ। এ সময় কাঠবোঝাই চট্ট-মেট্র-চ ১১-৬৬৪৫ কাভার্ড ভ্যানটিকেও জব্দ করা হয়। সোমবার সকালে লালমোহন উপজেলার কর্তারহাট বাজার থেকে এদের আটক করা হয়।
বন বিভাগ সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার ভোর ৪টার দিকে উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ বাজার থেকে ঢাকার মিরপুরগামী একটি কাভার্ড ভ্যানকে কর্তারহাট বাজারে তল্লাশী চালিয়ে ভিতরে সরকারি কেওড়া কাঠ পাওয়া যায়। গাড়ীতে থাকা লোকজনকে কাঠের কাগজপত্র দেখাতে বললে তারা দেখাতে পারেনি। পরে কাঠবোজাই গাড়িরসহ তিনজনকে আটক করে ভোলার বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। পরে এদেরেকে ভোলা সদর থানার মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হয়।
গাড়ীর ড্রাইভার মো. রফিক জানান, কাঠ পাচারকারী কামরুজ্জামান ডালিম রোববার রাতে কাঠ নিয়ে ঢাকার মিরপুরে যাওয়ার জন্য তাদেরকে ৩০হাজার টাকায় ভাড়া করে। পরে লালামোহনের লর্ডহাডিঞ্জ বাজারের পূর্বপাশের ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মিয়ার ইটভাটার স’মিল থেকে কাঠ বোঝাই করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
পাচারকারী কামরুজ্জামান ডালিম এ অবৈধ কাঠ প্রথমে লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের বললেও পরবর্তীতে সে কাঠ নিজের বলে দাবি করেন।
লর্ডহাডিঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম বলেন, এ অবৈধ কাঠ সম্পর্কে সে কিছুই জানেন না। তাকে ফাঁসানোর জন্য ডালিম মিথ্যে বলছে।
এ ব্যাপারে লালমোহন বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসার মো. আলাউদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লালমোহনের কর্তারহাট থেকে কাভার্ড ভ্যান বোঝাই ৫৯৬.৪৬ সেপ্টি কেওড়া কাঠবোঝাই একটি কাভার্ড ভ্যানসহ, একজন পাচারকারী, ড্রাইভার ও হেলাপারকে আটক করা হয়েছে। আটকৃতদের ভোলা সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।