আদিল হোসেন তপু/ভোলা নিউজ ২৪ ডট নেটঃ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দুর্যোগ ঝুকিঁ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। দুর্যোগের এই ক্ষতির হাত থেকে নারী,শিশু, প্রতিবন্ধী ও মানব সম্পদকে রক্ষা করার জন্য ভোলায় দুর্যোগ ঝুকিঁ মূল্যায়ন এবং পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার (২৮ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলা প্রশাসনের ও সেন্টর ফর ক্লাইমেন্ট চেনজ এন্ড এনভায়ার মেন্টাল রির্সাচ এর যৌথ আয়োজনে ইউনিসেফ এর সহযোগিতায় জেলা প্রশাসনের কক্ষে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
দুর্যোগ ঝুঁকি মূল্যায়ন এবং পরিকল্পনা কর্মশালায় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মাহমুদুর রহমানের সভাপেিত্ব উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফ এর প্রোগ্রাম অফিসার আ: জলিল, ইউনিসেফ এর প্লানিং এন্ড মনিটরিং অফিসার আল মুমিন মো: গোলাম সারওয়ার , সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার এ.কে,এম ছালেহ উদ্দিন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নিখিল চন্দ্র হালদার, ঘূর্নিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী (সিপিপি) উপ-পরিচালক মো: শাহাবুদ্দিন মিয়া, কোস্ট ট্রাস্ট আইসিএম প্রকল্পের সম্মনয়কারী মো: মিজানুর রহমান প্রমুখ।
কর্মশালায় এলসিবিসি জেলা সম্মনয়কারী নকীব আবদুস সালাম এর স লনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, তজুমদ্দিনের পিআইও মো: রাশেদ খান, লালমোহনের পি আইও অপূর্ব দাস, ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিপেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মো: বেলাল উদ্দিন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ভোলা ইউনিটের যুব প্রধান সাংবাদিক আদিল হোসেন তপু, আরসিওয়াই আফসানা এনি,তুষার, চিলড্রেন কাউন্সিলের সদস্য আবদুল্লাহ আল নোমন, সানজিদা আক্তার এশা প্রমূখ।
কর্মশালাতে বন্যা, সাইক্লোন, ঘূনিঝড় সহ বিভিন্ন দুর্যোগের সময় দুর্যোগের ক্ষতির থেকে মোকাবেলা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করা হয় এবং জলবায়ুর এই পরিবর্তনের ফলে বিশেষ করে নারী, শিশু, প্রতিবন্ধীরা যে ধরনের সমস্যা পরতে পারে তা থেকে তাদের উত্তোলন করা । দুর্যোগের সময় শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষা, শিক্ষা,চিকিৎসা যাতে সমস্যা না হয়। সে বিষয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়।
এসময় কর্মশায় অংশ নিতে আশা অংশগ্রহনকারীরা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব পড়েছে বিশ্বজুড়ে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যেসব দেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে তাদের অন্যতম বাংলাদেশ। আর এই জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় দ্বীপজেলা ভোলা। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে এই জেলার নদী ভাঙনসহ নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। গত ৪৫ বছরে মেঘনা ও তেঁতুলিয়ায় প্রায় ৫৭ বর্গকিলোমিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারনে ঘুর্ণিঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, খরা, পানির লবণাক্ততার কারনে ফসলের উৎপাদন হ্রাস, বনায়নে বৃক্ষ মারা যাওয়ার পাশাপাশি জীববৈচিত্র্যে মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। এছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে নারী ও শিশুরা। প্রান্তিক এলাকার শিশু ও নারীরা বিভিন্ন রোগ, মহামারী, দুর্ঘটনা ইত্যাদির শিকার হচ্ছে। মা ও শিশুর অপুষ্টি এবং মাতৃমৃত্যু হার বেড়ে চলছে। পরিবারে মহিলারা প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে খাদ্য প্রস্তুত, জ্বালানি ও বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করতে বেশি শ্রম দিতে হচ্ছে। অনেকে কিশোরীরা প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেনা। এছাড়াও জীবন-জীবিকা হুমকীর মুখে পড়ে অনেক পরিবার উদ্বাস্ত হয়ে পড়ছে। অনেকেই নদী ভাঙ্গন সহ নানা কারনে এলাকা ছেড়ে রাজধানীতে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন। ফলে উদ্বাস্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলছে। তাই সময়ের প্রয়োজনে এখনই সরকারি ও বে-সরকারিভাবে সকলের সম্মলিতভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পরিকল্পনা গ্রহন করে তা বাস্তবায়ন করা কথা বলেন।