ভোলায় দিনমজুরের ঘরে ডাকাতি করতে গিয়ে পানিতে ফেলে ৩ মাসের শিশুকে হত্যা

0
33

এম শাহরিয়ার জিলন,ভোলা নিউজ২৪ডটকম।।
ভোলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে রিকশাচালক দিনমজুরের ঘরে ডাকাতি করতে গিয়ে পানিতে ফেলে ৩ মাসের এক কন্যা সন্তানকে হত্যা করে ডাকাত দল। ডাকাতরা ওই ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার, দামী মালামাল ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। মঙ্গলবার মধ্যরাতে সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের পাঙ্গাশিয়া গ্রামে মোঃ মঞ্জুর আলম ড্রাইভারের বাড়িতে এই বর্বোরচিত ডাকাতির ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু মঞ্জুর আলম ও শাহনাজ বেগম দম্পতির ২য় মেয়ে মারিয়া বেগম। তাদের ২ বছর বয়সী আরও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
বুধবার (৭ জুলাই) সকালে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এনায়েত হোসেন ও তদন্ত (ওসি) আরমান হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পুলিশ ও নিহত শিশুর পরিবার জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে দরজা খুলে ৪ জন ডাকাত ঘরে প্রবেশ করে। যাদের সকলের শরীর কালো পোশাক দিয়ে ডাকা ছিল। ঘরে প্রবেশ করার বিষয়টি টের পান মঞ্জুরের স্ত্রী শাহনাজ বেগম। একপর্যায়ে ডাকাতরা শাহানাজের হাত-পা ও মুখমণ্ডল বেঁধে ডাকাতি করেন৷ ডাকাতি চলাকালে শাহানাজের ৩ মাসের ঘুমন্ত শিশু মারিয়া সজাগ হয়ে কান্নাকাটি করলে ডাকাতরা তাকে ঘরের পিছনে থাকা পুকুরে ফেলে হত্যা করে। ঘরে থাকা ১২শো টাকা, ১ ভড়ি স্বর্নলংকার ও দামী মালামাল লুট করে নিয়ে যায় ডাকাত দল।
ডাকাত দল যাওয়ার পর কৌশলে শানাহাজ শব্দ করলে ঘরে থাকা তাঁর ঘুমন্ত স্বামী মঞ্জুর আলম ও শানাহাজের শ্বাশুড়ী সজাগ হয়ে পুকুর থেকে শিশু মারিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে।
পরে রাত ৩টার দিকে তাদের ডাক-চিৎকারের শুনে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।
বুধবার সকালে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এনায়েত হোসেন ও তদন্ত (ওসি) আরমান হোসেনসহ পুলিশের একটি টীম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে শিশুটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশুটির বাবা ও মাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।


ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এনায়েত হোসেন বলেন, ঘটনাটির শুনে আমরা ওই বাড়িতে যাই। আমরা শিশুর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে আসল রহস্য উদঘাটন করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

LEAVE A REPLY