স্টাফ রিপোর্টার,ভোলা নিউজ২৪ডটকম।।মরনঘাতী ‘করোনা ভাইরাস’ সংক্রামন এড়াতে ভোলা সহ সারা দেশে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহন করেছে সরকার।এদিকে করোনার প্রভাবে ভোলায় চালের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে চালের দাম কেজি প্রতি ২ থেকে ১৫/২০টাকা বৃদ্ধি করে দিয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অধিক মুনাফাকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলেও চালের বাজার কমছে না।এদিকে বুধবার বিকালে ভোলার খালপাড় সড়কের দুটি পাইকারী দোকানে অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। এসময় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রেজোয়ানা চৌধুরী, মোঃ শামিম মিয়া উপস্থিত ছিলেন। এতো অভিজান জরিমানা করার পরেও কালোবাজারিরা অধিক মুনাফা লাভের আশায় চালের বাজার কে অস্থিতিশীল করে ফেলেছে।ভোলার চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চালের দাম অনেকটা বেড়ে গেছে। গত সপ্তাহে পাইকারী বাজারে স্বর্ণা চাল ছিলো প্রতি কেজি ৩৪টাকা, গতকাল সেই চালের দাম বেড়ে হয়েছে ৪০ টাকা, আটাশ ছিলো কেজি প্রতি ৪০ টাকা, এখন ৪৫টাকা, মিনিকেট ৪৮টাকা, এখন ৫০ টাকা, স্বর্ণা মজুমদার বস্তা প্রতি গত সপ্তাহে ছিলো ১৩৫০/১৫৫০ টাকা, এখন দুুই দিনের মাথায় বেড়ে দারিয়েছে ২১০০/২২০০টাকায়। এছাড়াও অন্যান্য আফজাল, মিনিকেট, কবুতর, মই, নুরজাহান, বগ, রশি স্বর্ণা চালের দাম বেড়েছে বস্তায় ৫০০/৭০০টাকা।
চাল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে, হঠাৎ করে লবণের মতো মানুষ চাল কেনার হিড়িকে পড়েছে। সবাই ৪/৫ মন করে চাল কিনতে বাজারে এসে পড়েছে। এতে আড়ৎদাররা হিমসিম খাচ্ছে। তবে বাজারে পর্যাপ্ত চাল রয়েছে বলে তারা জানিয়েছে।
এদিকে, খাদ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন বাংলাদেশে বর্তমানে চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও খাদ্যশস্যের যথেষ্ট মজুদ রয়েছে।
সাধারন ক্রেতা আবদুল মালেক বলেন,এভাবে বাজার অস্থিতিশীল করলে করোনাভাইরাসে মানুষ না মরলেও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধিতে আমদের না খেয়ে মরতে হবে।