আরিফ উদ্দিন রনি :ভোলা প্রতিনিধি॥ ভোলা সদর উপজেলায় একই সাথে দুইটি পরীক্ষা কেন্দ্র চালাচ্ছেন ব্যাংকের হাট কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইসমাইল হোসেন। তিনি একটি কেন্দ্রের সচিব ও অপরটির হল সুপারের দায়িত্বে রয়েছেন। কিন্তু একটি কেন্দ্রে নিয়মিত দায়িত্ব পালন করলেও অপরটিতে মোটেও যায়নি বলে অভিযোগ রয়েছে এ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। কেন্দ্র দুটি হলো সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও হীড টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার ভোলা। এ দুটি কেন্দ্রের দুরত্ব প্রায় ৮ কিলোমিটার। ব্যাংকের হাট কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা ও হীড টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার কেন্দ্রে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ভোকেশনাল নবম শ্রেণি বোর্ড সমাপনী পরীক্ষা নেয়া হয়। দুটি বোর্ডের পরীক্ষা চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে এক যোগে শুরু হয়। রুটিন অনুযায়ী একটি পরীক্ষা ছাড়া বাকি সবগুলো পরীক্ষা একই তারিখে অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে গত ১ নভেম্বর বৃহষ্পতিবার থেকে ০৯ নভেম্বর শুক্রবার পর্যন্ত জেএসসি ও ভোকেশনালের ৫টি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু প্রধান শিক্ষক ইসমাইল এই পাঁচ দিনেই ব্যাংকের হাট কেন্দ্রে সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু হীড টেকনিকেল সেন্টার কেন্দ্রে একদিনও আসেননি। হীড টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের সুপার ও কেন্দ্রের সচিব মো. সেলিম হোসেন নিজের মনগড়া মত পরীক্ষা পরিচালনা করছেন।
হীড কেটনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের সুপার মো. সেলিম হোসেন বলেন, এ কেন্দ্রে ৫টি প্রতিষ্ঠানের ১৯২ জন শিক্ষার্থী বাংলাদেশ কারিগরি বোর্ডের অধীনে এসএসসি ভোকেশনাল নবম সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছেন। ৫টি প্রতিষ্ঠান প্রধানের সম্মতিতে ব্যাংকের হাট স্কুলের প্রধান শিক্ষককে হল সুপার করা হয়েছে। এখানে আমার কোনো হাত নেই। সে আসতে পারে না বিধায় আমি পরীক্ষা পরিচালনা করছি।
এব্যাপারে অভিযুক্ত মো. ইসমাইল হোসেন জানান, আমাকে না জানিয়ে হীড টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার কেন্দ্রের হল সুপার বানানো হয়েছে। আমি একদিনেও ওই কেন্দ্রে যায়নি। শুধু আমার এক জন ছাত্রের সমস্যার কারনে একদিন গিয়েও চলে এসেছি।
ভোলা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক বলেন, বিষয়টি এত দিন আমাদের জানা ছিল না। একই শিক্ষক এক সাথে দুটি কেন্দ্রের দায়িত্ব পালন করতে পারে না। আমরা আলাদা আলাদা করে কেন্দ্রের তালিকা করে দিয়েছি। আমি বিষয়টি দেখতেছি। সমানের পরীক্ষাগুলোতে এক জন ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক সেখানে থাকেব।