স্টাফ রিপোর্টার ।। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন তথাকথিত রাজনৈতিকেরা ধোকাবাজ । তারা মুখে এক স্লোগান দেয় আর বাস্তবিক কাজে সেটা করে না । কমিউনিষ্টরা বলে ‘কেউ পাবে কেউ পাবেনা, তাহবে না তাহবে না ’ কিন্তু দেখা যায় কমিউনিষ্ট নেতারা দামি গাড়ি বাড়ি ব্যবহার করছে , অথচ তাদের দলিয় র্কমিরা ঠিক মত খেতে ও পারছে না । এতে পরিষ্কার বুঝা যায় তারা জনসাধারনের সাথে ধোকাবাজি করছে, প্রতারনা করছে । এ সমস্ত ধোকাবাজ নেতারা ক্ষমতায় এসে জাতীর সাথে ধোকাবাজি করে । আজ দেশে রাষ্টীয় র্পযায়ে দূর্নীতিকে বৈধতা দেওয়া হচ্ছে । শিক্ষামন্ত্রী বলছেন সহনিয় মাত্রায় ঘুষ খেতে । আজ দেশের সব কয়টি পাবলিক পরিক্ষায় প্রশ্ন পত্র ফাস হচ্ছে ,অতচ প্রশাসন কিছু করতে পারছে না । কারন র্সষের মাঝেই ভুতের আখরা । দেশের শান্তি সমৃদ্ধি আনতে এবং দূর্ণীতি , অনিয়ম বন্ধে এসমস্ত তথকথিত গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, র্ধমনিরোপেক্ষতা বাদ দিয়ে আল্লাহর জমিনে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠার বিকল্প নাই । ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন ভোলা জেলা শাখার (উত্তর) জেলা সম্মেলন ২০১৮ এর প্রধান অতিথির বক্তব্যের সময় তিনি একথা বলেন । এসময় তিনি আরো বলেন আজ দেশে অনেকে ধর্ম নিরোপক্ষতার কথা বলে । র্ধম নিরপেক্ষতা বলতে কিছুই নেই । র্ধমনিরোপেক্ষতা মানি নাস্তিকতা । আজ দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে চরম নৈতিকতার অবক্ষয় ঘটছে । প্রচলিত ছাত্র সংগঠনের নেতারা র্ধষনের সেঞ্চুরি উৎসব পালন করছে , শিক্ষকদের মারধর করছে , শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভিতর ব্যাভিচারে লিপ্ত হচ্ছে । এহেন পরিস্থিতি হতে জাতিকে রক্ষা করার জন্য সাহবা আজমাইনের আদর্শের অনুসারি ইসলাম শাসনতন্ত্র আন্দলনের পতাকা তলে সামিল হতে হবে । এই সমস্ত অন্যায় অবিচারের প্রতিরোধ করতে হবে । ইসলামি শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের প্রতিষ্ঠার র্দীঘ আড়াই যুগে এই সংগঠনের কোন সদস্যের বিরুদ্ধে হল দখল , মাস্তানি,ইভটিজিং , মাদক ব্যাবসা দুরের কথা, সামান্য কোন অভিযোগও নাই । তাই এই সংগঠনের পতাকা তলে শামিল হয়ে দেশের পরর্বতি প্রজন্মকে রক্ষা করতে হবে ।
প্রধান বক্তার আলেচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইশা ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি শেখ মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম । এসময় তিনি বলেন স্বাধিনার ৪৬ বছর পেরিয়েছে । আজ রাষ্টের নাগরিকদের নিরাপত্তা নাই । খুন ,হত্যা আজ নুনের চেয়েও সস্তা হয়ে গেছে । বাংলাদেশের স্বাধিনতার ৪৬ বছর পার হলেও আজো দেশে স্বাধিনতার মুল চেতনা , সাম্য ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয়নি । কারন দেশে চলমান তথাকথিত গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র , মানুষের মনগড়া মতবাদ শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে না । তাই মানুষের মনগড়া মতবাদ বাদ দিয়ে ইসলামি হুকুমাত প্রতিষ্ঠা করতে হবে ।
শনিবার বিকেলে শহরের বাংলা স্কুল মাঠে ভোলা জেলা (উত্তর) সভাপতি সৈয়দ মুহাম্মদ ইমরানের সভাপতিত্বে এসময় আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলনের ভোলা জেলা (উত্তর)শাখার সিনিয়র সহ সভাপতি মাও: তাজ উদ্দিন ফারুকি , সহ সভাপতি মাও: মিজানুর রহমান ,সাধারন সম্পাদক মাও: তরিকুল ইসলাম ,ইসলামী আন্দোলন ভোলা পৌর শাখার সভাপতি মাও: আতাউর রহমান মোমতাজি , ইসলামী যুব আন্দোলনের ভোলা জেলা সভাপতি হাফেজ মাও: রাশেদুল ইসলাম, জেলা ইসলামি আন্দোলনের প্রচার সম্পাদক মাও: ইউসুফ আদনান ,ইশা ছাত্র আন্দোলন ভোলা সদর থানার সম্পাদক মু. হেলাল উদ্দিন , বোরহান উদ্দিন শাখার সভাপতি মু.মাসউদুর রহমান প্রমুখ।
ইশা ছাত্র আন্দোলন ভোলা উত্তরের সাধারন সম্পাদক মু. সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামি আন্দোলন ভোলা জেলা সভাপতি মু, সিরাজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাও: তরিকুল ইসলাম, শ্রমিক আন্দোলনের সম্পাদক মাও: গোলাম র্মোশেদ, যুব আন্দোলনের সম্পাদক হাফেজ ইব্রাহিম খলিল প্রমুখ ।
সম্মেলনে ২০১৭ সেশনের কমিটিকে বিলুপ্ত করে মো: সাইফুল ইসলাম কে সভাপতি ,মো হাসনাইন খন্দকারকে সহসভাপতি, মো: শিহাবউদ্দিনকে সাধারন সম্পাদক হিসাবে র্নিবাচিত করা হয় ।
