স্স্টাফ রিপোর্টারঃ ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট :নেদারল্যান্ডস এ্যামবাসী এর অর্থায়নে ইকো কো-অপারেশন বরিশাল অ লে প্রুফস্ প্রকল্পের পুষ্টি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে। “খাদ্যের কথা ভাবলে পুষ্টির কথা ভাবুন” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নে প্রুফস্ প্রকল্পের সহায়তায় রান্না প্রতিযোগীতা ও পুষ্টি মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৩ থেকে ২৯ এপ্রিল পুষ্টি সপ্তাহ উদযাপনের জন্য গত বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) শিবপুর ইউনিয়নের মধ্যশিবপুর গ্রামে এই পুষ্টি মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুষ্টি মেলার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক। রান্না প্রতিযোগীতা ও পুষ্টি মেলায় সভাপতিত্ব করেন সিভিল সার্জন ডা: রথীন্দ্র নাথ মজুমদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো: কামাল হোসেন, বরিশাল স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা: মো: মাহাবুবুর রহমান। মেলার সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রুফস্ প্রকল্প ও ইকো কো-অপারেশনের জেলা কর্মকর্তা তপন কুমার সাহা।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নিউট্রিশন ইনিসিয়েটিভ এর কর্মকর্তা মো: মকবুল হোসেন, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মো: শাহাদাত হোসেন, ইনকা প্রকল্পের ফেরদৌসী আক্তার, আইডিই বাংলাদেশের কর্মকর্তা উজ্জল বিশ্বাস, সাকিব আল হাসান, শিবপুর এফবিজির সভাপতি মো: রুহুল আমিন।
মেলায় নির্বাচিত ১০জন অংশগ্রহনকারী মা রান্না প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বৈচিত্রময়, পুষ্টিকর ও সুস্বাদু খাবার তৈরী করেন। এর সাথে সাথে কিশোরী, গর্ভবতী মা ও ২ বছর বয়সের নীচের শিশুদের জন্য পুষ্টি বিষয়ক জারীগান, নাটক ও ভিডিও প্রদর্শিত হয়। মেলায় প্রুফস্ প্রকল্পের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে ষ্টল এবং ইউএসএআইডি ইনকা প্রকল্পের ষ্টল দেওয়া হয়। ষ্টলে পুষ্টিপণ্য এবং খাদ্য ও পুষ্টির বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মো: মাসুদ আলম সিদ্দিক পুষ্টি মেলার আয়োজনকারী প্রুফস্ প্রকল্প ও সার্বিক সহযোগীতা করার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, মেলার এক দিকে ১০ জন মা পুষ্টিকর খাবার রান্না করছেন অন্যদিকে বাউল শিল্পীরা গর্ভবতী মা, শিশুর মা, স্যানিটেশন এবং পুষ্টিকর খাবার নিয়ে গান পরিবেশন করছেন। বিষয়টি এলাকাবাসীকে পুষ্টি বিষয়ে অধিকতর সচেতন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। মায়েদের রান্না করার স্থান ও বিভিন্ন ষ্টল ঘুরে ঘুরে দেখেন জেলা প্রশাসক মো: মাসুদ আলম সিদ্দিক।
সভাপতির বক্তব্যে সিভিল সার্জন বলেন, মায়েদের অংশগ্রহনে রান্না প্রতিযোগীতা ও পুষ্টি মেলা করার ফলে মায়েদের সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে এবং মায়েদের ও শিশুদের অপুষ্টি কমে যাবে। তাপ ও শক্তি দায়ক খাবার, রোগ প্রতিরোধকারী খাবার এবং ক্ষয় পূরণকারী ও বৃদ্ধি দায়ক খাবার প্রতিটি মানুষের প্রতিদিন খাওয়া প্রয়োজন। এ ছাড়া অপুষ্টি দুর করার জন্য তিনি সমাজের সকল স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসার আহব্বান জানান।