মোঃ পারভেজ ভোলা প্রতিনিধি।।
ভোলার চারদিকে নদী হওয়ায় এ জেলার মানুষের আতঙ্কের মধ্যেই দিন কাটে। তাই নদী ভাঙ্গনের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ ও অসহায় হয়ে পরছে শতশত পরিবার।
ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের তিন চারটি ওয়ার্ড বিলিন হয়ে গেছে।বর্তমানে সাবেক ওয়ার্ডগুলো ভাগ করা হলেও সেই ওয়ার্ডগুলো চলমান ভাঙ্গনে বিলিনের পথে।
ভোলার সর্ব উত্তরে মেহেন্দিগঞ্জের সিমানাবর্তী বহমান মেঘনা নদীর ভাঙ্গনের কারনে এই মেঘনা নদীর তীরবর্তী রাজাপুর জোরখাল থেকে চর মোহাম্মদ আলী পর্যন্ত প্রায় কয়েক কিলোমিটার এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ নদী ভাঙনের তান্ডব চলতে থাকে। ভোলার বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা নিউজ করলে যা আমলে নেন ভোলার পানি উন্নয়ন বোর্ড,অবশেষে ভোলা সদর আসনের সাংসদ সদস্য আলহাজ্ব তোফায়েল আহম্মেদ এর নির্দেশে দ্রুত গতিতে কাজ শুরু হয় ভাঙ্গনরোধের, ফালানো হচ্ছে জিওব্যাগ।
এদিকে বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় অতিরিক্ত মহা পরিচালক (প্লানিং) ডক্টর মিজানুর রহমান, ভোলার জেলা প্রশাসক তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগীয় কর্মকতা বাবুল আক্তার, ভোলার নির্বাহী প্রকৌশলী হাসানুজ্জামান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরির্দশন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি রেজাউল হক মিঠু চৌধুরীপ্রমুখ।
পরির্দশন শেষে কর্মকতারা জানান, ভাঙ্গনরোধ করতে আমরা খুব দ্রুত গতিতে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছি পাশাপাশি বর্তমান তিন কিলোমিটার বেশি ভাঙ্গছে তাই সেটা ঠেকানোর জন্য জিওব্যাগ দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে ভোলার গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে রাজাপুরবাসী।