আরিফ উদ্দিন রনি,ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট: ভোলার ভেদুরিয়ার মাঝিরহাট এলাকায় আরো একটি নতুন গ্যাস ক্ষেত্রের সন্ধ্যান পাওয়া গেছে। এখানে ৬শত টিসিএফ গ্যাসের মজুদ রয়েছে বলে এ সংক্রান্ত একটি সংক্রান্ত নথিপত্র উপস্থাপন করা হয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠকের অনির্ধারিত আলোচনায়। বাপেক্স এটি খননের কাজ করছে।
নতুন এই গ্যাসক্ষেত্রের সম্ভাবনা নিয়ে সোমবার (১৫ জানুয়ারী) মন্ত্রিসভার বৈঠকেও আলোচনা হয়। গত বছর শেষের দিকে ভোলায় বাপেক্সের নতুন গ্যাসক্ষেত্রে ‘শাহবাজপুর ইস্ট-১’ থেকে পরীক্ষামূলক উত্তোলন শুরু করে। “নতুন আরেকটা কূপ খনন করে সেখানেও প্রায় ৬০০ টিসিএফ গ্যাস আবিস্কৃত হয়েছে। ভোলায় মজুদ এক দশমিক পাঁচ টিসিএফ (ট্রিলিয়ন ঘনফুট)”।
ভোলায় প্রথম গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায় শাহবাজপুর ক্ষেত্রে। সেখানে ২০০৯ সালের ১১ মে উত্তোলন শুরু করে বাপেক্স। শাহবাজাপুরে ৩৫বিলিয়ন ঘনফুটের বেশি গ্যাস মজুদ রয়েছে বলে বাপেক্সের প্রকৌশলীদের ধারণা। সেখানে থাকা চারটি কূপের মধ্যে তিনটি থেকে প্রতিদিন প্রায় ৩৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস তোলা হচ্ছে।
গতবছরের অক্টোবরে ওই গ্যাসক্ষেত্রের পাশেই নতুন আরেকটি গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া যায়, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘শাহবাজপুর ইস্ট-১’। এই ক্ষেত্রে ৭২০ বিলিয়ন ঘনফুটের মতো গ্যাসের মজুদ রয়েছে বলে বাপেক্স কর্মকর্তাদের ধারণা। নভেম্বরে ওই কূপ থেকে পরীক্ষামূলক উত্তোলনও শুরু হয়েছে।
ভোলা সদরের ভেদুরিয়ায় বাপেকসের ভোলা নর্থ-১ অনুসন্ধান কূপে গত ডিসেম্বরে খনন শুরু করেছিলেন তারা। রাষ্ট্রায়ত্ব তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশনের হিসাব অনুযায়ী, দেশের পুরনো ২৬টি গ্যাস ক্ষেত্রে ২০১৬ সালে পহেলা জানুয়ারি পর্যন্ত প্রমানিত গ্যাসের মজুদ ছিল ১৩ দশমিক ৬০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। গ্যাস সঙ্কটের মধ্যে গত কয়েকবছরে নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে উত্তোলন বাড়িয়ে দৈনিক ২ হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুটে নিতে পেরেছে সরকার। কিন্তু সারাদেশে দৈনিক চাহিদা রয়েছে তিন হাজার ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের। চাহিদা মেটানোর জন্য নতুন নতুন ক্ষেত্র থেকে অনুসন্ধান ও উত্তোলনের চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার। স্থল, অগভীর ও গভীর সমুদ্রে দেশি-বিদেশি কয়েকটি প্রতিষ্ঠান অনুসন্ধান চালাচ্ছে। পাশাপাশি বিদেশ থেকে গ্যাস আমদানির লক্ষ্যে একাধিক এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের কাজও চলছে। পেট্রোবাংলার তথ্য অনুযায়ী, দেশে বিদ্যুৎকেন্দ্র, সার কারখানা, শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এবং বাসাবাড়ি মিলিয়ে প্রায় ৩০ লাখ গ্রাহককে গ্যাস দিতে হয়।