আপডেটঃ জানুয়ারী ৩১, ২০২১ নিজেকে কখনও মার্কিন নাগরিক, কখনও এনএসআই পরিচালক, বড় সরকারি কর্মকতা এছাড়াও পরিচয় দিতেন গ্রুপ অব কোম্পানির মালিক। গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে, ইউটিউব দেখে প্রতারণার কৌশল আয়ত্ত করেছেন। সম্প্রতি দিপুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পোশাক তৈরির প্রতিষ্ঠান নোমান গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পাওয়ার খবর জানাতে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন দিপু। ফেসবুক লাইভে জানান, গুলশান ওয়েল ফেয়ার ক্লাবে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
নোমান গ্রুপের হেড অব প্রটোকল মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি ভাইরাল হলে আমাদের নজরে আসে। দিপু নামের ওই প্রতারকের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এছাড়া অভিযোগ করা হয়েছে গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার বিভাগে।
ডিএমপি গোয়েন্দা সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক তদন্তে দিপুর প্রতারণার অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে তার প্রতারণার নানা কৌশল।
তিনি জানান, ১৪ বছর বয়সে ভোলায় ত্রাণের টাকা আত্মসাতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিপুর প্রতারণা। জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা, এনএসআইয়ের পরিচালক পদে নিয়োগের ভুয়া গেজেট ছেপেছেন। এনএসআইয়ের সহকারী পরিচালক হিসেবে চাকরি দেয়ার নামে হাতিয়েছেন মোটা অংকের টাকা।
তিনি আরো জানান, করোনায় অসহায় মানুষকে সহায়তার নামে মানবিক টিম নামে সংগঠন তৈরি করে প্রবাসীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা। তার নামে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ আছে এমন চেক দেখিয়েও করেন প্রতারণা।
প্রতারণার ফাঁদপাততে দিপু চলাফেরা করেন দামি ব্রান্ডের ভাড়া করা গাড়িতে। তার হাত থেকে রেহায় পায়নি ভাড়া করা গাড়ির চালকরাও।
দিপুর মতো প্রতারকদের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন পুলিশ।