ভোলা হাসপাতালের টিকা কেন্দ্রে হাজারো টিকা প্রত্যাশিতদের ঢল,চরম বিশৃংখলা

0
22

মো: আফজাল হোসেন ::  ভোলায় করোনার টিকা দিতে গিয়ে চরম হয়রানী আর লাঞ্চনার স্বিকার হতে হচ্ছে। শৃংখলা না থাকায় বিশৃংখলাসহ হাতাহাতির ঘটনায় চরম ক্ষোভ টিকা প্রতাশিদের। দ্বায়িত্ব পালনে বাঁধার অভিযোগ হাসপাতাল স্টাফ ও প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকের দালালদের বিরুদ্ধে। চরম ক্ষোভ পুলিশ এবং রেড ক্রিসেন্টকর্মীদের মাঝে। অপরদিকে শেষ হয়ে আসা টিকা চেয়ে আবেদন সিভিল সার্জনের।

সকাল থেকেই ভোলার সদর হাসপাতালমুখী টিকা প্রতাশিদের মানবস্রোত। হাজার হাজার মানুষ এসে জড়ো হয়েছে টিকা দেয়ার জন্য। ভীর সামলাতে হিমশিম খেতে হয় দ্বায়িত্বে থাকা রেড ক্রিসেন্টকর্মীদের। তবে আইনশৃংখলা বাহিনীর ২/১জন সদস্য থাকলেও হাজার মানুষ সামলাতে পারেনি। এর মাঝে বহিরাগত বিভিন্ন স্থানের দালালরা ঝামেলা বাজিয়ে দেয়। কেউ আবার পুলিশ এর কাজে বাঁধা সৃস্টি করে। বেসরকারী একটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকের একজনকে ধরে ফেলে পুলিশ। দ্বায়িত্বরত পুলিশের ঐ সদস্য বলেন,তিনি যখন শৃংখলার কাজে ব্যস্ত ছিলেন,মাত্র দু’জন কনেস্টবল সদস্য। তখন হাসপাতালের পাশেরই একজন তার কাজে বাঁধা প্রদান এবং ধাক্কা দিয়ে বিশৃংখলা সৃস্টি করে।

পরে তাকে সেখান থেকে ধরে বাহিরে আনা হলে উর্ধবন কর্মকর্তারা ছেড়ে দেয়। এটাই শেষ নয়,একাধিক নারী-পুরুষ অভিযোগ করে বলেন,একই স্থানে নারী-পুরুষদেরকে দেয়া হচ্ছে। এটা কোন সভ্য কাজ হতে পারে না। এক ভীর ঠেলে নারীদের পক্ষে গিয়ে টিকা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই অনেক মহিলা এবং বৃদ্ধদের দেখা গেছে টিকা না দিয়ে চলে যেতে। ইলিশার জাঙ্গালিয়া থেকে আসা মো: আবুল খায়ের তার স্ত্রীসহ আত্বীয়-স্বজনদের নিয়ে টিকা দিতে আসেন। তবে ভীর না সামলাতে পেরে চলে যান। চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এছাড়া অনেকেই বলেন, তাদেরকে দাড়িয়ে থাকা অবস্থায় টিকা দিয়েই বের করে দেয়া হয়েছে। কারো আবার ছিড়ে গেছে জামা। নারী-পুরুষ একই স্থানে হওয়ায় এবং একটি গেট ব্যবহার করায় সমস্যা চরমে পৌছে।

এদিকে সেচ্ছায় কাজ করতে আসা রেড ক্রিসেন্টকর্মী আরিফুর রহমান মীমকে দ্বায়িত্ব পালনরত অবস্থায় শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করার ভোলা সদর হাসপাতালের স্টাফ মো: আলমের বিরুদ্ধ। অভিযোগ রয়েছে ঐ স্টাফ ১০জনকে নিয়ে জোরপূর্বক টিকা দেয়ার স্থানে একই সাথে ঢুকতে চাইলে দ্বায়িত্বরত মীম তাকে বাঁধা দেয়। এসময় তাকে শারিরীক ভাবে লাঞ্চিত করে। এসব ঘটনায় চরম ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে রেড-ক্রিসেন্টকর্মীদের মাঝে।

রেড ক্রিসন্ট ভোলার যুব প্রধান আদিল হোসেন তপু বলেন,বিষয়টি আমরা ভোলার সিভিল সার্জন এবং হাসপাতালের আরএমওকে জানানো হয়েছে। তারা আশ্বাস দিয়েছেন বিষয়টি ভালো ভাবে দেখার।

ভোলা সিভিল সার্জন ডা: কে এম শফিকুজ্জামান বলেন,টিকা শেষ পর্যায় যা আমাদের কাছে আছে তাতে ৩/৪দিন চলবে। তাই দ্রুত টিকা চেয়ে চিঠি দিয়েছি। টিকা দিতে সমস্যা ও বিশৃংখলার কথা স্বিকার করে বলেন,হাজার হাজার মানুষের ভীর সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। যে কারনে শৃংখলা বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা টিকা প্রদান ও স্যামপোল কালেকসন স্থান দুটি আলাদা করবো দ্রুত।স্যামপোল কলেকশনের স্থানটি সরিয়ে অন্যত্র নেয়া হবে। আইনশৃংখলা বাহিনীর সহযোগীতা চাওয়া হবে।

LEAVE A REPLY