মো: আফজাল হোসেন ।। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক মো: মোশারেফ হোসেন (রাজীব মীর) এর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
আজ সকাল ৯টায় ভোলা শহরের সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্তরে মরহুমের নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজীব মীর এর বন্ধু,আত্বীয়-স্বজনসহ শত শত মানুষ জানাযায় অংশ গ্রহন কর।
এর আগে প্রিয় মুখ রাজীম মীর এর বহনকৃত লাশবাহী গাড়ীটি আসে। শেষ বারের মত দেখা এবং নাজাযা সম্পন্ন করতে প্রিয় শহর ভোলার মাটিতে তার লাশ নামানো হয়। ছোট বেলার বন্ধুরাই তার কফিন ধরে
পরে রাজীব মীর এর পক্ষে তার বন্ধু এজে এম ছালেক (রওনক) সকলের উদ্দেশ্য বন্ধুর পক্ষে ক্ষমা চেয়ে নেন এবং যারা তাকে সাহায্য করেছে তাদের প্রতিকৃতঞ্জতা ঞ্জাপন করেন। নামাজে জানাযা শেষে পুনরায় লাশবাহী গাড়ীতে করে তার গ্রামের বাড়ি পরানগঞ্জ মীরা বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হাইস্কুল মাঠে শেষ বারের মত নামাজে নাজাযা শেষে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়।
রাজীব মীর এর বাল্য বন্ধু কন্ঠশিল্পী সোহাগ বলেন,তাদের বন্ধুদের মাঝে রাজিব ছিলো সবচেয়ে শান্ত প্রকৃতির মানুষ। সব সময় মানুষের উপকার করেছে। চিকিৎসার জন্য আমরা সকল বন্ধু দেশবাসীর কাছে কৃতঞ্জ যারা সাহায্য করেছে। বন্ধু ৯২ব্যাচ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে রাজীবের ভুমিকা ছিলো সবচেয়ে বেশি।
গত শুক্রবার (২০জুলাই) দিনগত মধ্যরাতে ভারতের চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে দু’দিন ধরে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি। গত ১৭ জুলাই রাতে চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে স্ট্রোকে আক্রান্ত হন দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ রাজীব মীর। এরপর লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় তাকে। ‘স্ট্রোক করার পরপরই চেন্নাইয়ের ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে ক্লিনিক্যালি ডেড ঘোষণা করেন। তবে পরিবারের অনুরোধে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয় তাকে। পরে শুক্রবার দিনগত রাত ১টা ৩৭মিনিটে তার লাইফ সাপোর্ট খুলে দেওয়া হয়।’
জবির সাবেক শিক্ষক রাজীব মীর বেশ কয়েক মাস ধরে লিভার সিরোসিসে ভুগছিলেন। অত্যন্ত ব্যয়বহুল এই রোগের চিকিৎসার জন্য গত কয়েক মাস ধরে ভারতে আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকতে হয়েছে রাজীব মীরের পরিবারকে। চলতি সপ্তাহে রাজীব মীরের অপারেশন ও লিভার প্রতিস্থাপনের কথা ছিলো।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেওয়ার আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেছেন রাজীব মীর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর রাজীব কবিতা লেখা ছাড়াও নিয়মিত লেখালেখি করতেন। সমাজকর্মী ও গবেষক হিসেবেও সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি।