ভোলা নিউজ২৪ডটকম।। জোরপূর্বক ভোলার দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাউন্ডারী(সীমানা প্রাচীর) ভেঙে জমি দখল করে দৌলতখান পৌরসভা বহুতল বিপণীবিতান নির্মাণে হাত দিয়েছে। গত ১২ অক্টোবর অনেকটা গোপনে বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর নির্মাণের কাজ শুরু করে পৌরসভার নির্ধারিত ঠিকাদার। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দাবি, তাদের প্রায় ৮ শতাংশ জমি বেদখল করেছে।
জানতে পেরে ভোলা জেলা প্রশাসক(ডিসি) মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক গতকাল বুধবার দুপুরে(প্রায় ১৫ দিন পরে) ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে পৌর-মেয়রকে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন।
দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, দৌলতখান পৌরসভার উত্তর মাথায় (বাসস্টান্ডের পাশে )গত ১২ অক্টোবর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাউন্ডারী ভেঙে ফেলে ঠিকাদারের শ্রমিক। এ সময় মেয়র, পৌরসভার প্রকৌশলী ও ঠিকাদার উপস্থিতি ছিল। শ্রমিকরা বহুতল বিপণীবিতান নির্মাণে হাত দেয়।
সূত্র আরও জানায়, বিপণীবিতানের পাশে একটি পুকুর। এ পুকুরের পানি ঐরাকাবাসি, হাসপাতালের রোগী, দর্শনার্থী, মসজিদের মুসল্লিরা ব্যবহার করে। এই পুকুরের সঙ্গে বিপনীবিতানের সৌচাগারের ট্যাঙ্কি নির্মাণ করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা মো. আনিসুর রাহমান লিখিত আকারে অভিযোগটি ভোলা সিভিল সার্জন বরাবর পাঠিয়েছেন এবং কাজ বন্ধের বিষয়টি জানিয়েছেন।
সূত্র আরও জানায়, পৌরসভা হাসপাতালের প্রায় ৮শতাংশ জমি দখল করেছে।
ভোলা জেলা সিভিল সার্জন সৈয়দ রেজাউল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তিনি এলাকায় নতুন এসেছেন। তাই জেলা প্রশাসককে বিষয়টি তাৎক্ষনিক জানিয়েছেন। তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
গতকাল বুধবার সরেজমিন দেখা যায়, গত ১৬দিনে ভবনের কয়েকটি পিলার গড়ে উঠেছে। পুরো ভবনটি নির্মাণের জন্য পাথর, বালু ও ইট সড়কের পাশে জমা করা হয়েছে।
এলাকাবাসি বলেন, গতকাল বুধবার সকালেও শ্রমিক পিলারে ও গাঁথুনিতে পানি ঢেলেছে।
দৌলতখান পৌরসভার মেয়র জাকির হোসেন তালুকদার বলেন, উত্তর বাজার বাসস্টান্ডের কাছে শহীদ মিনার, মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভ। এখানে সবাই প্রস্রাব-পায়খানা ও সৌচকার্য করে এলাকাটি অপবিত্র করছে। বিভিন্ন সভা-সেমিনারে সুশিল সমাজ এগুলোকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে বলে। তাই পৌরসভা নিজস্ব অর্থায়নে এখানে একটি বিপণীবিতান নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। যাতে লোকজনের সমাগম হলে শহীদ মিনার ও মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ পরিচ্ছন্ন থাকে। তাই লিখিত অনুমতি ছাড়াই প্রায় ৫০ লাখ টাকার বিনিময়ে বিপণীবিতানের কাজে হাত দেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জমি না দিলে, কাজ বন্ধ থাকবে।