ভেলুমিয়ার গাজীর চরে ভূমিদস্যুদের কাছে জিম্মি অসহায় পরিবার ॥ সংবাদ প্রকাশের পর মেরে ফেলার হুমকি

0
86

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ দ্বীপজেলা ভোলার একসময়ের বিচ্ছিন্ন ইউনিয়ন ছিল ভেলুমিয়া। ভোলার গণমানুষের নেতা সাবেক শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদ এমপি বিচ্ছিন্ন ইউনিয়ন ভেলুমিয়াকে আজ শিল্পনগরী হিসেবে গড়ে তুলেছেন। ৪নং ওয়ার্ডের গাজীর চর নামক এলাকায় দীর্ঘ বছর ধরে বাড়িঘর করে বসবাস করে আসছেন কয়েকটি হতদরিদ্র পরিবার। সেই হতদরিদ্র বাসিন্দারা সরকারি জমি লিজ নিয়ে বসবাস করার মধ্যে স্কুল শিক্ষক তাজুল ডাক্তারকে একজন লিডার মনোনয়ন করেন। কিন্তু অশিক্ষিত দিনমজুর মানুষগুলোর স্বপ্ন তছনছ করে নিজের ভাই হানিফ গাজী, ভাতিজা ফোরকানসহ একটি ভূমিদস্যু বাহিনীকে লেলিয়ে দেন নিরহ দিনমজুর কৃষক নির্যাতন করার জন্য। কান্নাজড়িত কণ্ঠে নুরজাহান (৭০) নামক এক বৃদ্ধা মহিলা বলেন, বাবা আমার ঘরে এসে তাজুল ডাক্তারের হুকুমে তার ভাই ভাতিজারা পিটিয়ে রক্তাক্ত করে গেছে। ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান, শাহাবুদ্দিন, মরিয়ম বেগম, হোসনে আরা বেগম, চুন্নু ফরাজী, সেকান্তর ফরাজী, বিবি মরিয়ম বলেন, কিছু হলেই আমাদের ঘরের মধ্যে এসে মারধর করেন এবং প্রতি ঘর থেকে ৫ হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করে। আমরা গরিব বলে কেউ আমাদের পাশে এসে কেউ দাঁড়ায় না। চুন্নু ফরাজী নামক এক দিনমজুরকে পিটিয়ে জখম করেছে। তিনি এখন কাজকর্ম কিছুই করতে পারেন না। চুন্নুর স্ত্রী কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, আমরা গরিব বলে বিচার পাব না? আমি আজ তিন বাচ্চাকে নিয়ে না খেয়ে দিন যাপন করছি। আমার স্বামীকে আজ পঙ্গু বানিয়ে দিয়েছে তাজল ডাক্তারের ভাই ভাতিজারা। কে এই তাজল ডাক্তার খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভেলুমিয়া চরগাজী ৪নং ওয়ার্ডের মৃত আবদুর রহমান গাজীর ছেলে এবং রাজাপুর ইউনিয়নের তৈয়বা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। মানুষ গড়ার কারিগর তাজুল ইসলাম অসহায় মানুষের উপর নির্যাতন হলে সেটি বন্ধ করার কথা থাকলেও তিনি তার বিপরীতভাবে গিয়ে নিজের ভাই বাতিজাকে লেলিয়ে দিয়ে অত্যাচার করছেন। হতদরিদ্র কয়েকটি পরিবার আজ জিম্মি তাজুল গংদের কাছে। ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান জানান, তাজল ডাক্তারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর তিনি আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেন। তাজুল ডাক্তার ও তার ভাই ভাতিজাসহ আমাদের বাড়িতে এসে হুমকি দিয়ে যান। এসময় তারা বলেন, দ্বিতীয়বার যদি কোন সাংবাদিকের কাছে যাস তাহলে তোদের সবাইকে মেরে ফেলবো। আর শোন প্রতিমাসে আমি আসবো না, আমার ভাই-ভাতিজাকে ৫ হাজার টাকা করে দিয়ে দিবি। ঘর প্রতি টাকা যদি না দিস, তাহলে মেরে তোদেরকে ঘর থেকে বের করে দিবো। দেখি তোর কোন সাংবাদিক বাপ তোদের বাচায়। ভুক্তভোগী মিজানুর রহমানসহ এলাকাবাসী জানায়, চাঁদা না দিলে বাড়ি ঘরে থাকতে দিবে না, আমরা এখন অসহায় কি করব? ভোলার গণমানুষের নেতা আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদ এমপি মহাদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ভুক্তভোগী মিজানুর রহমানসহ এলাকাবাসী ভেলুমিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আরমান হোসেন বলেন, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

LEAVE A REPLY