ভালোবাসার জের, ইলেকট্রিক শকে হত্যা

0
463

কিশোর-কিশোরী ভালোবেসে বিয়ের পরিকল্পনা করেছিল। পরিবার রাজি হবে না বলে সবার অজান্তে পালিয়ে বিয়ে করতে চেয়েছিল তারা।

কিন্তু ঘটনাটি পরিবারের সদস্যরা জেনে যাওয়ায় পরিবারের সম্মান রক্ষায় তাদের ইলেকট্রিক শক দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার ফক্স নিউজ এ খবর প্রকাশ করেছে।

পরিবারের মূল্যবোধ বিসর্জন দেওয়ার অপরাধে পাকিস্তানের দক্ষিণ করাচিতে উপজাতি এই যুগলকে গত মাসে হত্যা করা হয়। এরপর গোপনে তাদের কবর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় সাংবাদিক ঘটনাটি জানার পর তা প্রকাশ করে দেন। তারপর ওই প্রেমিক যুগলের বাবা এবং চাচাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার ওই প্রেমিক যুগলের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হবে।

পুলিশের বরাত দিয়ে ফক্স নিউজ জানায়,উপজাতি গোত্রের ওই কিশোর-কিশোরী ভালোবেসে পালিয়ে বিয়ে করার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু বিষয় জেনে গেলে স্থানীয় পশতুন জিরগা (গ্রাম পঞ্চায়েত/ইউনিয়ন পরিষদ) তাদের ইলেকট্রিক শক দিয়ে হত্যার নির্দেশ দেয়। প্রথমে ১৫ বছরের কিশোরী বখত তাজ এবং পরেরদিন ১৭ বছরের কিশোর রেহমানকে ইলেকট্রিক শক দিয়ে দিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর কোনো ধরনের ধর্মীয় অনুশাসন না মেনে রাতের আঁধারে গোপনে তাদের কবর দেওয়া হয়।

এখবর জানাজানি হলে পুলিশ তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। বুধবার ময়নাতদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন করাচির পুলিশ কর্মকর্তা আমান মারওয়াত।

ওই কিশোর-কিশোর মূলত মোহমান্দ ক্লান উপজাতিভুক্ত।

এবিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তা আমান মারওয়াত জানান, ওই নির্দোষ প্রেমিক যুগলকে প্রথমে একসঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। এরপর তাদের শরীরে ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়।

তিনি জানান, এঘটনার পর ওই কিশোর এবং কিশোরীর বাবা ও চাচাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে জিরগার অন্য ৩০ সদস্যরা ওই এলাকা থেকে পালিয়ে গেছেন।

ঊর্ধ্বতন পুলিশ সুপার রাও আনোয়ার ডাবল খুনের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানান, গ্রেফতাররা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

এ ঘটনাটির খবর যে সাংবাদিক প্রথম প্রকাশ করেন, তার নাম জিয়া উর রেহমান। তিনি বলেন, মেয়েটির পরিবার এ বিয়েতে রাজি ছিল। কিন্তু জিরগা থেকে সতর্ক করে দেওয়া হয়, যদি দুটি পরিবার জিরগার ওই নির্দেশ পালন না করে, তাহলে ওই পরিবারের সবাইকে একইভাবে শাস্তি দেওয়া হবে। এরপর তারা জিরগার ওই নির্দেশ পালন করেন।

LEAVE A REPLY