ভোলা নিউজ২৪ডটকম।।বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যূনতম বেতন ভাতা বেঁধে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন সমন্বয় করতে বর্তমান কর্মীদের বেতনও।
একই সঙ্গে অদক্ষতা ও লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থতার অজুহাতে ইচ্ছেমতো ব্যাংকারদের চাকরিচ্যুত করা যাবে না।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করে দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
নতুন নির্ধারিত বেতন চলতি বছরের ১ মার্চ থেকে কার্যকর হবে।
সার্কুলারে বলা হয়, অ্যাসিস্টেন্ট অফিসার, ট্রেইনি অ্যাসিস্টেন্ট অফিসার, ট্রেইনি অ্যাসিস্টেন্ট ক্যাশ অফিসার অথবা সমপর্যায়ের কর্মকর্তা, যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, ব্যাংকের অ্যান্ট্রি লেভেলে নিযুক্ত কর্মকর্তাদের শিক্ষানবিশকালে ন্যূনতম বেতন ভাতা হবে ২৮ হাজার টাকা।
শিক্ষানবিশকাল শেষে বর্ণিত কর্মকর্তাগণের প্রারম্ভিক মূল বেতনসহ ন্যূনতম সর্বমোট বেতন ভাতা হবে ৩৯ হাজার টাকা। নতুন নির্ধারিত বেতন ভাতা কার্যকর করার পর একইপদে আগে থেকে কর্মরত কর্মকর্তাদের বেতন ভাতা আনুপাতিক হারে বৃদ্ধি করতে হবে।
এছাড়া মেসেঞ্জার, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, নিরাপত্তাকর্মী, অফিস সহায়ক অথবা সমজাতীয় পদে, সর্বনিম্ন যেকোনো পদে নিয়োগ করা কর্মচারীদের ন্যূনতম প্রারম্ভিক বেতন ভাতা হবে ২৪ হাজার টাকা। ওই কর্মচারীদের কাজ যদি চুক্তিভিত্তিক বা দৈনিক ভিত্তিতে বা আউট সোর্সিং বা অন্য কোনো প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিয়োগ করা কর্মচারীদের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়, সেক্ষেত্রে কর্মচারীদের বেতন ভাতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এমন কর্মচারীদের বেতন ভাতা নির্ধারণ করতে হবে।
সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নিম্ন পদের কর্মকর্তার বেতন ভাতার সঙ্গে ব্যাংকের সর্বনিম্ন পদের কর্মকর্তা ও কর্মচারী বেতন ভাতার পার্থক্য যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণ করতে হবে। অনুরূপভাবে সকল স্তরের কর্মকর্তাগণের জন্যও আনুপাতিকহারে বেতন-ভাতাদি নির্ধারণ করতে হবে। কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতাদি কোনো অবস্থাতেই বর্তমান বেতন-ভাতাদির চেয়ে কম হবে না। এরূপ পরিস্থিতির উদ্ভব হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ইনক্রিমেন্ট প্রদানপূর্বক বেতনভাতাদি নির্ধারণ করতে হবে। এতদ্ব্যতীত, ব্যাংকের সার্ভিস রুলস্ অনুযায়ী কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ অন্যান্য ভাতা ও সুযোগসুবিধা যথানিয়মে প্রাপ্য হবেন।
ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক নিয়োগকৃত কর্মকর্তাগণের চাকুরি স্থায়ীকরণ বা বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির জন্য আমানত সংগ্রহের লক্ষ্য অর্জনের শর্ত আরোপ করা যাবে না। শুধুমাত্র নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন করতে না পারা বা অদক্ষতার অজুহাতে ব্যাংক-কোম্পানির কর্মকর্তাকে প্রাপ্য পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। একইভাবে অজুহাতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করা যাবে না, অর্থাৎ সুনির্দিষ্ট ও প্রমাণিত কোনো অভিযোগ না থাকলে কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা বা পদত্যাগে বাধ্য করা যাবে না।
তরুণ ও শিক্ষিত ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা যাতে অধিকতর প্রশিক্ষিত ও দক্ষ হয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে নিজ প্রতিষ্ঠান মনে করে একনিষ্ঠ ও নিরবচ্ছিন্নভাবে ব্যাংকিং সেবা প্রদানের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন এবং ভবিষ্যতে মেধাবী ব্যক্তিরা যাতে ব্যাংক খাতকে আকর্ষণীয় ক্যারিয়ার হিসেবে গ্রহণ করতে আগ্রহী হয়, সেজন্য এই উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।