বেপারোয়া রিক্সা,অটো ও নছিমন :: জ্যামের শহর ভোলা

0
15

মো: আফজাল হোসেন।। ভোলায় প্রতিদিনই বারছে বাটারিচালিত রিক্সা অটো ও নছিমনের সংখ্যা। এসব যেন দেখার নেই কেউ। যত্রতত্র পার্কিং আর বেপারোয়া চলাচল ও গতি সাদারন মানুষের আতংক। শহরে ট্রাফিক থাকলেও তারা এসব না দেখে থাকেন অন্য কাজে ব্যস্ত। ফলে চরম ভোগান্তির স্বিকার হন পথচারীসহ সাধারন মানুষেরা।

দ্বীপ জেলা ভোলা হচ্ছে দেশের মধ্যে অন্যতম একটা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। যে কারনে বাহিরের সাথে এখানে সরাসরি সরাসরি কোন সড়ক পথে যোগাযোগ নেই। বেকারত্ব সমস্যা আর সহজলোভ্যতার কারনে ব্যাটারি চালিত রিক্সা নিয়ে নেমে পরেছেন শিশু,কিশোর বৃদ্ধসহ সকলেই। কারন আগের মত প্যাডেল মারতে হচ্ছে না। ব্যাটারি চালিত এসব গাড়ীতে রয়েছে গিয়ার আর এ্যাকসেলেটর যা চাপ দিলেই গাড়ী ছুটতে শুরু করে। বহুবার এসব গাড়ী নিয়ন্ত্রন কিংবা বন্ধর জন্য পদক্ষেপ নেয়া হলেও বার বার তা পিছিয়ে যাচ্ছে।একই সাথে বন্ধর পরির্বতে বৃদ্ধি পাচ্ছে দিনের পর দিন। সঠিক কত হাজার রিক্সা,অটো আর নছিমন রয়েছে তার সংখ্যা নেই কারোই কাছে। শহরের প্রধান সড়ক সদর রোড,উকিল পাড়া,নতুন বাজার ও বাংলাস্কুল মোর এলাকা সব সময় জ্যাম লেগেই  থাকে। অথচ এসব স্থানে ট্রাফিক পুলিশ রয়েছে নিয়ন্ত্রনের জন্য। নিয়ন্ত্রন না করে প্রায় সমই এসব ট্রাফিক সদস্যদের দেখা যায় পাশের দোকানে বসে আড্ডারত অবস্থায়। এছাড়া রাস্তার ফুটপাত দখলে রাখা ও মটরসাইকেলসহ রিক্সা রাস্তার দুই পাশে দাড়িয়ে থাকায় জ্যাম অনেকটাই বেশি। রিক্সা চালক মো: কলিমুল্লাহ বলেন,স্যার আমরা রিক্সা না চালালে খাবার উপায় নেই। এখন প্যাডেল দিতে হয় না বলেই চালাই। বেপারোয়া চালানোর বিষয় বলেন,রিক্সার গতি বেশি দ্রুত যাওয়ার জন্য এটা করা হয়। অপরদিকে অটো চালক আব্দুল কাদের বলেন,চাকুরীর চেয়ে এটাএখন স্বাধীন ভাবে কাজ করা। যা পাই তাতে সংসার চলে। তবে কিছু বেপারোয়া চালকদের সমালোচনা করেন এই অটো চালক। বলেন,পদে পদে আমাদের চাঁদা দিতে হয়। না হলে শহরে চালাতে পারি না। যে কারনে কেউ কিছু বলেন না।

ভোলার সদর রোডের পথচারী মো: মোকাম্মেল বলেন,রিক্সা আর অটোর জন্য শহরে চলাচল কস্ট হয়ে পরেছে। কালীনাথ রায়ের বাজার থেকে বাংলাস্কুল মোড় পর্যন্ত যেখানে হেটে যেতে সময় লাগে ১০ থেকে ১২ মিনিট সেখানে রিক্সায় লাগে ৩০থেকে ৪০মিনিট সময়। আর জ্যাম যদি লেগেই যায় তা হলে আর বলার কিছু নেই। এছাড়া মে: খায়ের উদ্দিন বলেন,প্রশাসনের উচিত ট্রাফিকদের দ্বায়িত্ব সঠিক ভাবে পালনে উৎসাহীত করা। কারন মোড়ে এ্যালোমেলো গাড়ী চলাচলের ফলে ভিতরে জ্যাম লেগে যায়। এছাড়া নিষিদ্ধ গাড়ী নছিমন ক্যাকড়া অনেক লোড করে,রড ও টিন নিয়ে চলাচল করায় জ্যামের অন্যতম একটা কারন।

এসব বিষয় পুলিশ সুপার মো; সাইফুল ইসলাম বলেন,শহরের জ্যাম নিয়ন্ত্রনের জন্য আমরা কাজ করছি। রাস্তার প্রতিটি মোরে ট্রাফিক দেয়া হয়েছে। আগের চেয়ে কিছু ঠিক হয়েছে। এখন আবার বলে দিচ্ছি ট্রাফিক বিভাগকে যাতে জ্যাম না থাকে তার জন্য প্রয়াজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার। আমরা চেস্টা করছি সাধারন মানুষের সেবা দিয়ে তাদের পথচলাকে সুন্দর ও সুগম করতে।

LEAVE A REPLY