দুলাল পাটওয়ারী, লালমোহন প্রতিনিধি ।। ভোলার লালমোহনে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ‘‘গুনগত শিক্ষা নিশ্চিত করনের” লক্ষ্যে সজীব ওয়াজেদ জয় ডিডজটাল পার্কে গতকাল সকালে মা সমাবেশের আয়োজন করা হয়। লালমোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামসুল আরীফের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি সিহাবে উপস্থিত ছিলেন ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন বিশ্বে আমরা মেধা নির্ভর জাতী হিসাবে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদেরকে সামনের দিকে অনান্য রাষ্ট্রের সাথে প্রতিযোগিতা করে চলতে হবে এবং এগিয়ে যেতে হবে। জাতী হিসাবে আমাদেরকে কেউ এখন আর অসম্মান করে না। একসময় আমাদের দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ বলা হতো। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ট নেতৃত্বে বিশ্বে আমরা এখন সম্মানীত জাতী হিসাবে আতœপ্রকাশ করেছি। মা-দের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন- বাবা বিভিন্ন কাজে বাইরে থাকে। সন্তানের পড়ালেখার দায়িত্ব বেশিরভাগ বর্তায় মা-দের উপর। তাই প্রত্যেক মাকে তার সন্তানকে উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য যথাযথ দায়িত্ব নিতে হবে। বাবাকে ও সন্তানের জন্য সাহায্য করতে হবে। আমাদের সমাজে যার যেখানে যতটুকু দায়িত্ব আছে তার সেটুকু দায়িত্ব পালন করতে হবে। তখনই জাতী হিসাবে আমরা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হবে পারব। অভিভাবকরা তাদের সন্তানকে সুশিক্ষিত করার জন্য শিক্ষকদেরকে সহায়তা করতে হবে। শিক্ষকদের ও দায়িত্ব রয়েছে তাদের শিক্ষার্থীরা যাতে যুগের সাথে তালমিলিয়ে পড়ালেখা করতে পারে তার ব্যবস্থা করা। শিক্ষিত জাতী ছাড়া কোন বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন এই লালমোহন তজুমদ্দিনের সাবেক এমপি ক্ষমতায় থাকা কালে ছাত্রছাত্রীদের কে নিয়ে বীরবিক্রম বাহিনী, হাফিজ বাহিনী, মার্শাল বাহিনী, মশামাছি বাহিনী তৈরী করেছিল। তাদের হাত থেকে কলম কেড়ে নিয়ে হকিষ্টিক, রামদা, অস্ত্র তুলে দিয়েছিল। আর আমি এসে শিক্ষার্থীদের হাতে অস্ত্রের পরিবর্তে কলম তুলে দিয়েছি, কম্পিউটার তুলে দিয়েছি, ফ্রি কম্পিউটার প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করেছি। শিক্ষার্থীদেরকে ডিজিটাল পদ্বতিতে পড়ালেখার ব্যবস্থা করেছি। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার শিক্ষাক্ষেত্রের ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই দেশে প্রথম সকল প্রাইমারী স্কুলকে জাতীয় করন করেছে। এরপর জননেত্রী শেখ হাসিনা ২৬ হাজার প্রাইমারী স্কুলকে জাতীয়করন করেছে। মাধ্যমিক শিক্ষকেদের বেতন দ্বিগুন করেছে। মাদরাসার শিক্ষকদের বৈষম্য কমিয়ে মাধ্যমিক শিক্ষকদের সমান বেতন নির্ধারন করেছে। প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে মাধ্যমিক ও কলেজ জাতীয়করন করেছে। এটা শুধু শেখ হাসিনার দ্বারাই সম্ভব। বঙ্গুবন্ধুকে খুনের পর বন্দুকের নলের মাধ্যমে অনেক সরকার এদেশে এসছে, কিন্তু শিক্ষার কোন উন্নয়ন করেনি। শিক্ষার উন্নয়নের জন্য শুধু আওয়ামীলীগ সরকারই কাজ করেছে। পুরো দেশটাকে ডিজিটাল দেশ করেছে।
এই সরকারের আমলে ভোলা জেলা বরিশাল বিভাগের মধ্যে পাশের ক্ষেত্রে প্রথম হয়েছে। আমি চাই আমার লালমোহন-তজুমদ্দিন এর শিক্ষার্থীরা ভোলা বরিশালের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না তারা সরা বাংলাদেশের মধ্যে ১ম স্থান অধিকার করবে।
আলোচনা সভায় অনান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লালমোহন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাছুমা খানম, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দিদারুল ইসলাম অরুন, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম বাদল, জেলা পরিষদ সদস্য মনির হাওলাদার ও মাসুদ হাওলাদার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার জালাল আহমেদ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রমূখ।
সমাবেশে লালমোহন উপজেলার স্কুল, কলেজ, মাদরাসার কয়েক হাজার মা, অভিভাবক, শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।