রাকিব উদ্দিন অমি ।। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বিএনপির রাজনীতি এখন দেউলিয়া হয়ে গেছে। তিন বছর পর পর সম্মেলন হয়। ওদের মেয়াদ কয়েক দিন আগে শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু সম্মেলন করতে পারেনি। তিনি আরো বলেন একটা দলের প্রধান দুনীতি মামলার আসামী হয়ে জেলে। আর একজন ভারপ্রপ্ত । দেশে নেই। বিদেশে পালিয়ে আছে। খুন মামলার আসামি হিসাবে। সে যদি নেতা হয়। সেই দলের অস্তিত্ব থাকে। আজ বিএনপি অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। তিনি বলেন, ওদের নেত্রী জেলে ওরা কিছুই করতে পারেনি। না পারে কোর্টে। না পারে মাঠে।
আজ রবিবার দুপুরে ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে চতুর্থ দিনের মতবিনিময় সভায় সদর উপজেলা বাপ্তা ও কাচিয়া ইউনিয়নের আওয়মী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভা প্রধান অতিথির বক্তব্যে তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ আরো বলেন, আমরা করেছি। ৭ বার জেলে গেছি। আমি বঙ্গন্ধুর হত্যার পর ৩৩ মাস জেলে ছিলাম। আমাকে গ্রেফতার করে হাত চোখ বেধে অত্যাচার করেছিলো। আমি মাথানত করিনি। ময়মনসিংহ জেলে ২০ মাস,কুষ্টিয়া জেলে ১৩ মাস ছিলাম। আবার সিলেটে ফাঁসির আসামীর মতো রাখা হয়েছে। মংমনসিংহ জেলেও ৩ মাস সূর্যের আলো দেখিনি। ৮৪ সনে আবার গ্রেফতার করে কুমিল্লা কারাগারে রাখা হয়। ৮৬ সনে ভোলায় গ্রেফতার করে বরিশাল কারাগারের একটি কক্ষে একক ভাবে বন্ধি করে রাখা হয়। ৯৬ সনেও গ্রেফতার করে রাজশাহী কারাগারে পাঠিয়ে দেয়। ২০০২ সনে গ্রেফতার কারে কুষ্টিয়া ও কাসিমপুর কারাগারে রাখা হয়। কিন্তু আমরা মাথা নত করিনি। তিনি আরো বলেন,ওদের কল নেতৃবৃন্দ কোন আন্দোলনেও নেই সংগঠনেও নেই। কোন কিছু নাই। এটাই বিএনপির জন্য প্রাপ্য ছিলো। কারন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যার সাথে জড়িত ছিলো। খুনি আল্লাহ পছন্দ করেনা। জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খুনিকে পালামেন্টে মেম্বার করেছিলো। স্বাধীনতা বিরোধী মানবতা বিরোধী যারা মায়ের কোল খালি করেছে,বাপকে পুত্র হারা করেছে। তাদেরকে মন্ত্রী করে তাদের গাড়িতে পতাকা দিয়েছে। আর আমাদের হাতে হাত কড়া পড়িয়েছে। তার কারনেই বিএনপির এই পরিনতি।