বাংলাদেশ আর পিছে পড়ে নেই : প্রধানমন্ত্রী

0
422

ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট ।। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার পথে একধাপ অগ্রগতি।

আজ শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর ৯৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শিশু সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। এ ছাড়া টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে তাঁর সমাধিতে গোটা জাতির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এর পর পরই বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসার শ্রদ্ধার্ঘ্য এগিয়ে দেন তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পরে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর সমাধি প্রাঙ্গণে শিশু আরাফাতের সভাপতিত্বে আয়োজিত শিশু সমাবেশে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।

সেখানে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পর সংবিধান ক্ষতবিক্ষত করে, গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাংলাদেশের অগ্রগতি থামিয়ে দেওয়া হয়। সেই অবস্থা থেকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি তারই ফসল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন,  ‘যে বাংলাদেশ স্বপ্লোন্নত দেশ ছিল। আজ সেই বাংলাদেশ  জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃতি পেয়েছে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে। অর্থাৎ আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলো … আমাদের উন্নয়নশীল দেশ, আমরা এক ধাপ পিছে পড়েছিলাম। আজকেই আমরা খবর পেয়েছি, আমরা আর পিছে পড়ে নেই। এই অঞ্চলের সব দেশের সঙ্গে সমানতালে তাল মিলিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে পারব, আমরা চলতে পারব। এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘জাতির পিতার যে স্বপ্ন, যে আকাঙ্ক্ষা ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়া। তারই এক ধাপ অগ্রজাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।’

বিভিন্ন ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া উদ্যোগ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শিশুদের ভবিষ্যৎ যেন উজ্বল হয় সেই পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটাই অনুরোধ করব, আপনারা প্রত্যেকে ওই ছোট্ট শিশু থেকে আমাদের যুব শ্রেণি,  কোথায় যায় কী করে, কার সঙ্গে মিশে, কীভাবে চলে সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিবেন। যেন সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদকাশক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে না পারে। তারা যেন সুস্থ জীবন পায়। আর বাবা-মা ভাইবোনকে নিয়ে সুখে-শান্তিতে দিন যাপন করে। তারই পদক্ষেপ নিতে হবে।

পরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন এবং তাদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন  প্রধানমন্ত্রী।

LEAVE A REPLY