ভোলা নিউজ২৪ডটকম।। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি সম্পর্কে দেশবাসীকে সতর্ক করে বলেছেন, তারা এখনো দেশের অর্জনকে ব্যর্থ করতে চাচ্ছে। তবে, এখন সময় সামনে এগিয়ে যাওয়ার।
প্রধানমন্ত্রী আজ বুধবার বিকেলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনে আয়োজিত ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির ভাষণে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশবিরোধী অপশক্তি এখনো দেশ-বিদেশে সক্রিয়। তারা নানা অপতৎপরতার মাধ্যমে এ অর্জনকে নস্যাৎ করতে চায়। তিনি বলেন, ‘আজ বাংলাদেশ যে অবস্থানে পৌঁছেছে, সেখান থেকে সহজে নামানো যাবে না। তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে, আমরা এই করোনাভাইরাস মহামারির অভিঘাত সফলভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। তবে আমাদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সব অপতৎপরতা প্রতিহত করে প্রিয় মাতৃভূমিকে উন্নয়ন-অগ্রগতির পথ ধরে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাই।’ তিনি বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে আমরা বাংলাদেশকে উন্নত–সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব। এখন শুধু আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার পালা। পেছনে ফিরে তাকানোর কোনো সুযোগ নেই। সব বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে এ দেশকে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শোষণ, বঞ্চনা, ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতামুক্ত অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করব, ইনশা আল্লাহ। এটাই আজকের দিনে আমাদের প্রতিজ্ঞা।’
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও তাঁর সহধর্মিণী রাশিদা খানম এবং মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ ও তাঁর সহধর্মিণী ফাজানা আহমেদ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। জাতীয় প্যারেড স্কোয়ারে শত শিশুর সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপরই শিশুরা সমবেত কণ্ঠে রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলগীতি এবং দেশাত্মবোধক সংগীত পরিবেশন করে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে জাতির পিতার ছোট মেয়ে এবং প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানাও অংশগ্রহণ করেন।
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা এবং প্রখ্যাত ব্রিটিশ সাংবাদিক মার্ক টালি অনুষ্ঠানে অভিনন্দন জানিয়ে ভিডিও বার্তা পাঠান। অনুষ্ঠানে ‘মুজিব চিরন্তন’ নামে একটি ভিডিও চিত্র পরিবেশিত হয়। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ধারণকৃত বর্ণাঢ্য ফ্লাই পাস্টও অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয়। এরপর দেশবরেণ্য শিল্পীদের অংশগ্রহণে কবি কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী রচিত এবং নকীব খানের সুরারোপিত ‘তুমি বাংলার ধ্রুবতারা, হৃদয়ের বাতিঘর’ পরিবেশিত হয়। শেখ রেহানাও সমবেত কণ্ঠে পরিবেশিত থিমে কণ্ঠ মেলান।
১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার থিম ‘মুজিব চিরন্তন’ হলেও প্রতিদিন অনুষ্ঠানের জন্য ভিন্ন ভিন্ন থিম রয়েছে এবং উদ্বোধনী দিনের থিম ছিল ‘ভেঙেছ দুয়ার, এসেছ জ্যোতির্ময়’। জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উদ্যাপন বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম স্বাগত ভাষণ দেন।