ভারতের মধ্যপ্রদেশের সতনা জেলার এক কিশোরী প্রেতাত্মার হাতে ধর্ষিত হওয়ার পরিণামে এক সন্তানের জন্ম দিয়েছে। অন্তত এমনটাই দাবি ক্লাস টেনের সেই ছাত্রীর।
দিন কয়েক আগে দেবেন্দ্রনগর এলাকার কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে এই কিশোরীকে যখন নিয়ে আসা হয়, তখন সে গর্ভবতী। ৩১ জানুয়ারি সে একটি সন্তানের জন্ম দেয়। হেলথ সেন্টারের কর্মচারীরা যখন তার কাছে জানতে চান যে, এই সন্তানের পিতা কে, তখন প্রথমে মেয়েটি তার নিজের বাবার নাম বলে। তারপর থেকেই সে ভূতের হাতে ধর্ষিত হওয়ার কাহিনী বলতে শুরু করে।
স্বাস্থ্যকর্মীরা তার মুখে এমন অদ্ভুত কাহিনী শুনে দেবেন্দ্রনগর থানায় খবর দিলে, দেশটির পুলিশ কর্মচারীদের সামনে সেই নাবালিকা এক বিচিত্র কাহিনী শোনায়। সে বলে, এক অশরীরী আত্মা নাকি দিনের পর দিন জোর করে তার সঙ্গে যৌনসম্পর্ক স্থাপন করে গেছে। এবং সেই অত্যাচারের ফলেই সে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। মেয়েটির পরিবারের লোকজনের ধারণা, কোন দুষ্ট আত্মা মেয়েটির উপর ভর করেছে। ভূত নামানোর জন্য স্থানীয় এক ওঝাকে দিয়ে মেয়েটির উপর ঝাড়ফুঁকও করানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন পরিবারের লোকেরা। কিন্তু তাতে ভূতের হাত থেকে মু্ক্তি মেলেনি।
সন্তান প্রসবের পরে সদ্যোজাতের শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে বাচ্চা-সহ মেয়েটিকে পান্না ডিস্ট্রিক্ট হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। শিশুটি আপাতত হাসপাতালের নিউবর্ন কেয়ার ইউনিটে রয়েছে। দেবেন্দ্রনগর থানাও কেস ডায়েরিটি সিংপুর থানায় ফরোয়ার্ড করে দিয়েছে।
দেশটির পান্নার অ্যাডিশনাল সুপারিনটেন্ডেন্ট অফ পুলিস রাঘবেন্দ্র সিংহ জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে। তবে তার ধারণা, হয় মেয়েটির পরিবার মারাত্মক রকমের কুসংস্কারাচ্ছন্ন, অথবা পরিবারের লোকজন কোন সত্য গোপনের চেষ্টা করছেন। ‘হাসপাতালে মেয়েটি তার সন্তানের পিতা হিসেবে প্রথমে নিজের বাবার নাম বলেছিল। কিন্তু তার পরেই সে বয়ান বদলে নেয়। ব্যাপারটা অত্যন্ত সন্দেহজনক,’ বলেন রাঘবেন্দ্র। সূত্র : এবেলা।