ভোলা নিউজ২৪ডটনেট।। সিটি কর্পোরেশনের ৪ নাম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে আমেরিকা প্রবাসীর কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে গত দু’দিন থেকে বরিশাল নগরীজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।
আমেরিকা প্রবাসী মঞ্জুর মোর্শেদ নগরীর ৪ নাম্বার ওয়ার্ডের কাউনিয়া থানার ভাটিখানা এলাকার আবদুল হাসেম খানের পুত্র। একই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম বাদশার চাঁদা দাবির বিষয়ে তিনি (মোর্শেদ) বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও সংশ্লিষ্ট কাউনিয়া থানায় ই-মেইল বার্তায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। সর্বশেষ প্রবাসী মোর্শেদ গত ৩ জুলাই কাউনিয়া থানায় জিডির আবেদন করেছেন।
প্রবাসী মঞ্জুর মোর্শেদ সাংবাদিকদের জানান, কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম বাদশা ও তিনি (মোর্শেদ) একই এলাকার বাসিন্দা এবং একসময়ে বন্ধু সুলভ সম্পর্কে জড়িত ছিলেন। ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে কাউন্সিলর বাদশা তার নিজের ফেসবুক আইডির ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে তার (মোর্শেদ) এর ম্যাসেঞ্জারে প্রধানমন্ত্রীর বরিশালে আগমন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের অযুহাতে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরবর্তীতে কাউন্সিলরের দাবিকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে (মোর্শেদ) অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন কাউন্সিলর বাদশা।
চাঁদা দাবির অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম বাদশা বলেন, আমি আমার পাওনা টাকা চেয়েছি। পরবর্তীতে সকল প্রমাণ দেখে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানের নামে টাকা চাওয়ার ব্যাপারে তিনি (বাদশা) বলেন-“আমার ফেসবুক আইডি হ্যাকড হয়েছিল”। তবে এ ব্যাপারে কেন থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়নি সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে কাউন্সিলর বাদশা কোন সদূত্তর না দিয়ে প্রবাসী মঞ্জুর মোর্শেদকে মাদক ব্যাবসায়ী ও নারীলোভী হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, আমি ঢাকা থেকে বরিশালে ফিরে বিষয়টি তদন্ত করে প্রমান পেলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল বলেন-বিষয়টি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি দলীয়ভাবে আমরাও তদন্ত করে দেখবো। অভিযোগের সত্যতা পেলে কঠোর ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।