পুলিশ সদস্যরা সাহসী, প্রখর মনোবল এটা খুব জরূরী সুস্থ হওয়ার জন্য-ডাঃ অর্পিতা সরকার মীম 

0
4183
রাকিব উদ্দিন অমি,ভোলা নিউজ২৪ডটকম।।  যখন করোনায় আক্রান্ত পুরো দেশ চিকিৎসা না দিয়ে চাকরি ছেড়েছেন অনেক অভিজ্ঞ ডাক্তার।তখন দেশ বাঁচাতে  নিজের ঘর সংসার ছেড়ে জীবনের মায়া ত্যাগ করে ঢাকা রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে নিরলসভাবে করোনা আক্রান্ত রোগীর সেবা দিয়ে যাচ্ছেন করোনা যোদ্ধা ডাঃ অর্পিতা সরকার মীম।দিন রাত করোনা আক্রান্ত পুলিশ রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে নানান অভিজ্ঞতা হয়েছে ভোলা চরফ্যাশনের মেয়ে ডাঃ অর্পিতা সরকার মীমের।
পুরো দেশ যখন লকডাউনে ছিলো তখন লকডাউন মেনে চলার জন্য কাজ করেছেন সাংবাদিক,ডাক্তার,পুলিশ সদেস্যরা আর করোণায় আক্রান্ত ও মিত্যুবরণ করেছেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন অনেক পুলিশ । সেই পুলিশ সদস্যদের করোনা চিকিৎসা দিতে গিয়ে কাছ থেকে দেখেছেন ডাক্তার মিম তার অভিজ্ঞতা হয়েছে অনেক।
সেই অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেছেন  পুলিশ ট্রাফিক ব্যারাকে টানা ১০ দিন রোজ ১২ ঘন্টা ডিউটির শেষদিন ছিলো কাজ শেষে রাত ভর ভাবলাম যতটুকু সম্ভব রুগীদের সমস্যা সমাধান এবং তাদের মানসিক সাপোর্ট দিতে চেষ্টা করেছি বাকিটুক উপরে যে আছেন সে জানেন কতটুকু কি পেরেছি। কালকে থেকে মুক্তি, মুক্তি বললে ভুল হবে কাল থেকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন আমার।শরীরে করোনা ঘরবাড়ি বেধেছে কিনা তা বুঝবার জন্য আলাদা থাকতে হবে ১৪দিন। যদিও এই ১০দিনও আলাদাই ছিলাম.. তারপর ৬ দিন পরিবারের সবার সাথে স্বাভাবিক জীবন কাটিয়ে আবার ফিরে আসবো ডিউটিতে।করোনা যে শুধু রোগীদের উপর মানসিক প্রভাব ফেলে তা নয়, আমরাও প্রতি মুহুর্তে চাপা টেনশন ফিল করি।তার মাঝে টুকটাক ছবি তোলা মনকে হালকা করে। নিজেকে মানুষ মনে হয়,ভালো লাগে, নতুবা সারাক্ষন মুখের ঠুসিটা নিজেকে ভিনগ্রহের ফিল দেয়।
সবশেষে বলি পুলিশের এখানে কাজ করতে যেয়ে খেয়াল করলাম আক্রান্ত পুলিশ সদস্যরা বেশ সাহসী, প্রখর মনোবল তাদের, সহজে ঘাবড়ায় না।উপদেশমতন চলে, হাটাহাটি করে, ঔষধ খায়। তারা বেশ পজিটিভ এটা খুব জরূরী তাড়াতাড়ি সুস্থ হওয়ার জন্য।এভাবেই নিজের কাজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন রোগীকে ভয় না পেয়ে সাহসী হয়ে বলেন ডাঃমিম।তিনি বলেন রোগকে ভয় না পেয়ে মনোবল শক্ত রাখলে রোগের সাথে যুদ্ধ করে অনেক তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠা যায়। যেমন আমরাও রোগকে ভয় না পেয়ে প্রতিনিয়ত কাজকে মূল্যায়ন দিয়েছি তাই হয়তো এখনো সুস্থ আছি মানুষের সেবা করতে পারছি।পিপিই পরে গরমের মধ্যে কাজ করা অনেক কষ্টকর ডাক্তারদের কষ্ট ডাক্তার হয়ে বুঝতে পারেন তিনি সব ডাক্তারদের প্রতি দোয়া/আশীর্বাদ করেন আর সবাইকে সাবধানে ও ঘরে থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
মীম ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস শেষ করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে অনারারী মেডিকেল অফিসার হিসেবে কাজ করেছে, এরপর সে আল্ট্রাসাউন্ডের উপর ডিপ্লোমা করে এবং গতবছর কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে যোগদান করেন সেখানে তিনি কর্মরত আছেন।
প্রসঙ্গত,ডাঃ মীম ভোলার চরফ্যাশন পৌরসভার সত্য রঞ্জন সরকার ও গীতা বিশ্বাস এর ছোট মেয়ে।ডাঃ মিমের বাবা অতিরিক্ত পরিচালক ( অবঃ), খামার বাড়ি,কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং মা গীতা বিশ্বাস, এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ( অবঃ), উদ্ভিদ বিদ্যা, চরফ্যাশন সরকারী কলেজে চাকরি করতেন।ডাঃ মীমের গত বছর প্রদীপ রায় কে বিয়ে করেন তিনি একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি বাংলাদেশ শাখার রিজিওনাল ম্যানেজার পদে কর্মরত আছেন।

LEAVE A REPLY