ভোলা নিউজ২৪ডটনে।। কত দিন পর ছেলেদের ফুটবলে বাংলাদেশের শিরোপা জয়। তা–ও আবার ঠাসা উত্তেজনার ম্যাচে স্নায়ুর পরীক্ষা পাস করে। পাকিস্তানকে টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। নির্ধারিত সময়ে খেলাটি ১-১ গোলে ড্র ছিল।
একটা ফাইনাল ম্যাচে যতটা লড়াইয়ের আশা করে মাঠে আসেন দর্শক, তার সবটুকুই ছিল আনফা কমপ্লেক্সে। এগিয়ে যাওয়া, আবার সমতা। আর সবশেষে টাইব্রেকারে বাংলাদেশের জয়। যেখানে তিনটি শট ঠেকিয়ে দিয়ে নায়ক বদলি গোলরক্ষক মেহেদী হাসান। সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষেও দুটি শট ঠেকিয়ে দিয়েছিল যশোরের এই কিশোর।
আজও একাদশে ছিল না গোলরক্ষক মেহেদী। কিন্তু ‘পেনাল্টি স্পেশালিস্ট’ হিসেবে সে তো প্রমাণিত। ম্যাচটি ১-১ গোলের সমতায় শেষ হচ্ছে দেখে ৯০ মিনিটে নিয়মিত গোলরক্ষক মিতুল মারমার বদলি হিসেবে মাঠে পাঠানো হয় তাকে। কোচ আনোয়ার পারভেজের জানা ছিল, এই ছেলেই পারবে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে। করে দেখালও তা–ই। প্রথম, দ্বিতীয় ও শেষ শটটি ঠেকিয়ে হলো নায়ক। শেষ শটে পাকিস্তানের মোদাসসের গোল করতে পারলে ৩-৩ সমতায় ফিরতে পারত পাকিস্তান। কিন্তু মেহেদীর সেভ দিয়ে বোঝাল, তাকে কেন বদলি হিসেবে পাঠানো হয়েছে। স্পটকিক থেকে বাংলাদেশের তিনটি গোল করেছে হৃদয়, রাজা আনসারি ও রুস্তম। মিস করেছে রাজন ও রবিউল।
এর আগে ২৫ মিনিটেই আত্মঘাতী গোল এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে হেড করে নিজেদের জালে পাঠিয়ে দেয় পাকিস্তানের ডিফেন্ডার হাসিব আহমেদ খান। এর পরে মনে হচ্ছিল পাকিস্তানের সমতায় ফেরা সময়ের ব্যাপার মাত্র। ৫৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে পাকিস্তানকে সমতায় ফেরান মহোব উল্লাহ। শেষ মিনিট পর্যন্ত উত্তেজনার পারদ ছুঁয়েছিল চূড়ান্ত উচ্চতা। ম্যাচের উত্তেজনা ছিল এমন যে, গোলের আগ পর্যন্ত সব সময় মনে হয়েছে ম্যাচটি জিততে পারে যেকোনো দলই।
মালদ্বীপের জালে ৯ গোল গোল দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল আনোয়ার পারভেজের শিষ্যরা। গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে নেপালকে ২-১ গোলে হারানোর পর সেমিফাইনালে ভারতকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। আবারও সেই টাইব্রেকারে স্নায়ুকে জয় করে শিরোপা উল্লাস।
২০১৫ সালে সিলেটে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব–১৬ সাফে শেষ শিরোপা জয় করেছিল বাংলাদেশ। সেই টুর্নামেন্টই ফরম্যাট বদলে এখন অনূর্ধ্ব–১৫। ফলে তিন বছর পর ছেলেদের বয়সভিত্তিক ফুটবলে শিরোপা জয় করল বাংলাদেশ।