ভোলা নিউজ ২৪ডটনেট : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার পাঠানো আইনি নোটিশ প্রত্যাহার না করলে আইনগত ব্যবস্থা নেবে আওয়ামী লীগ। বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির পক্ষ থেকে এক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতির খবর এখন বিশ্ব স্বীকৃত। বিদেশের আদালতও খালেদা জিয়ার দুই ছেলের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে সাজা দিয়েছে। তারেক রহমানের হাওয়া ভবন ছিল বিএনপি সরকারের মধ্যকার আরেক সরকার। দেশি-বিদেশি কোম্পানিকে বিভিন্ন ঠিকাদারি কাজ পাইয়ে দিতে হাওয়া ভবন থেকেই হাজার হাজার কোটি টাকা কমিশন আদায় করা হত।
খালেদা জিয়ার দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সৌদি আরবে খালেদা জিয়ার অর্থ পাচারের খবর বিশ্ব মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে। মিডিয়ার উদ্ধৃতি দিয়েই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার দুর্নীতি সম্পর্কে মন্তব্য করেন। প্রচারিত একটি বিষয়ে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী জনগণকে অবহিত করেছেন মাত্র।
হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা যখন সর্বোচ্চ সাজা দাবি করেছেন, ঠিক তখনই ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীকে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন। মিডিয়াকে প্রভাবিত করতেই খালেদা জিয়ার এ কৌশল বলে মনে করি। এতে শেষ রক্ষা হবে না খালেদা জিয়ার।
শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া যে মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছে, তাতে জনগণের দৃষ্টিকে সরানো যাবে না। অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো উকিল নোটিশ প্রত্যাহার করতে হবে। তা না করলে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সংবাদ সম্মলনে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, খালেদা জিয়ার এ উকিল নোটিশ পাঠানোর মানে হচ্ছে, ‘চোরের মায়ের বড় গলা।’ জিয়াউর রহমানের পুরনো প্যান্ট কেটে তারেক রহমানের প্যান্ট বানিয়েছিল, খালেদা জিয়া এটি বিটিভিতে বহুদিন প্রচার করেছে। ভাঙা স্যুটকেস ছাড়া নাকি জিয়ার কিছুই ছিল না! সেই তারেক রহমান বিদেশের মাটিতে কীভাবে জীবন-যাপন করছেন, তার তদন্ত হওয়া দরকার। তদন্ত হওয়া দরকার বিএনপি আমলের হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই নোটিশ পাঠিয়েছেন খালেদা জিয়া। বিদেশে খালেদা জিয়ার সম্পদের যে তথ্য প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন, এজন্য ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে উকিল নোটিশে। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তথ্য জানান।
ফখরুল বলেন, সম্প্রতিকালে প্রধানমন্ত্রী জিয়া পরিবার নিয়ে যে সকল অভিযোগ উত্থাপন করেছেন এসব অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছিলাম। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও তারা মুখে বিভিন্ন কথা বললেও অভিযোগ প্রমাণ করতে কোনো প্রকার তথ্য উপস্থাপন করতে পারেননি। এ কারণে আমরা আমাদের অঙ্গীকার অনুযায়ী খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছি।