ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট।।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোলা-১ (সদর) আসনে নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে বিএনপি প্রার্থী গোলাম নবী আলমগীর নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন। বৃহষ্পতিবার দুপুরে ভোলা জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি প্রার্থী তাদের দলের নেতাকর্মীদের মারধর ও হামলা-মামলার অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে গোলাম নবী আলমগীর বলেন, গত ১৫ ডিসেম্বর শনিবার সকালে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ তাঁর নেতাকর্মীদের নিয়ে আমার বাসায় কুশল বিনিময় করে বলেন, “বাংলাদেশের কোথায় কি হলো আমার জানার প্রয়োজন নেই। তবে ভোলায় শান্তিপূর্ণ সহ-অবস্থানে এবং আন্তরিক পরিবেশে নির্বাচনী প্রচারণা চলবে। এ ব্যাপারে আমার তরফ থেকে সম্পূর্ণ সহযোগীতা থাকবে”। তাঁর মত একজন জাতীয় নেতার সৌহার্দ্যপূর্ণ বক্তব্যকে আমরা বিশ্বাস করি। কিন্তু পরিতাপে বিষয়, সে চলে যাওয়ার পর থেকে কাচিয়া, ধনিয়া, শিবপুর, বাপ্তা ইউনিয়নসহ পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে তার দলের লোকজন আমার প্রায় ৫০ জন নেতাকর্মীকে আহত করে। অনেকের বাড়িতেও হামলা চালানো হয়। এবং ১৭জন নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এছাড়ও নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্গন করে ভোটারদেরকে ৩০ তারিখে ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার হুমকি প্রদান করে তার দলের নেতাকর্মীরা।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সমূহ নিরপেক্ষভাবে এসকল ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় এনে ভোলা-১ আসনসহ চারটি আসনে নির্বাচনী পরিবেশ ফিরিয়ে আনুক। যাতে প্রত্যেক প্রার্থী দ্বিধাহীনভাবে তাদের নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারে এবং ভোলায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ ফিরে আসে। জনগন যাতে নির্ভয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে পারে। তা না হলে দেশবাসীর বহুল প্রত্যাশিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রহসনে পরিনত হবে। এবং এই কলংকের বোঝা ক্ষমতাশীন দল ও নির্বাচন কমিশনকে বহন করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য হায়দার আলী লেলিন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ ট্রুম্যান, যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবির সোপান, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক, থানা বিএনপির আহবায়ক আসিফ আলতাফ, সদস্য সচিব হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় ছাত্র দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার আল আমিন প্রমূখ।
