নিষিদ্ধ সময় আইন সবার জন্য সমান চায় ভোলার জেলেরা

0
5

মো: আফজাল হোসেন।। মা ইলিশ রক্ষায় ২২দিনের জন্য মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে সকল ধরনের মাছ ধরাকে নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য অধিদপ্তর। তবে আইনকে শ্রদ্ধা জানিয়ে সকল জেলে ও ব্যবসায়ীদের দাবী সব ধরনের জাল যেন নদী থেকে তুলে দেয়া হয়। প্রভাব খাটিয়ে যেন কেউ মাছ ধরতে না পারে। আ্‌ইন যেন সবার জন্য সমান হয়। একই সাথে সরকারের দেয়া অনুদান,চাল সমান বন্ধন হয় এমনটাই দাবী।

 মা ইলিশ রক্ষা ও জাটকা ধরা বন্ধ করা কি দরকার। এতে আমরা কি উপকৃত হব ? এমন প্রশ্নে ভোলার এক সাধারন জেলে মো: তোফায়েল রাঢী বল্লেন,উপরে যদি সব জাইল্ল্যা (জেলে),বাঁধা,মশারীসহ সব নিষিদ্ধ জাল যদি তুলে দেয়া যায় তাতে জেলেরা এই অভিযানে লাভবান হয় লোকসান হয় না। তবে ঐ জেলে অভিযোগ করে বলেন,জাল বাওয়ায় ( জাল ফেলতে সহযোগীতা করা) বড় বড় মিয়রা,যাতে ছোট ছোট ইলিশ পোনা মাইরা হালায়। বড় মিয়াগো পকেটে টাকা যায়,তা হয় না। মাছ না ধরলে সবাইর লাইগ্যাই না। এভাবেই সাধারন জেলে তার প্রক্রিয়া ব্যাক্ত করেন,মা ইলিশ রক্ষায় ২২দিন মাছ ধরা বন্ধ নিয়ে। শুধু তাই নদীতে প্রশাসনের হয়রানী আর প্রভাবশালী ব্যক্তিদের চাঁদাবাজী বন্ধ করার দাবী জানান মো: নাছিম। দীর্যদিন ধরে ইলিশ স্বিকার করা এই জেলে বলেন,সময হলেই আপনারা আসেন আর বক্তব্য নিয়ে যান,তাতে আমাদের লাভ কি। মাছ স্বিকার করিনি। তবে সরকারী ভাবে দেয়া অনুদানতো পাইনা। সবই পায় প্রভাবশালীদের আত্বীয় স্বজনরা।

মা ইলিশ রক্ষা অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে বলেন,ইলিশ পড়েছে সাগড়ে। অতিমাত্রায় স্রোতের ফলে ইলিশ উপড়ে উঠতে পারেনি। ইলিশ ধরার উপর নির্ভরশীল এসব আরো জেলেরা বলেন,সংসার চালাতে তাদের কস্টের কথা। অবৈধ নিষিদ্ধ জাল বন্ধের প্রতি জোর দাবী জানিয়ে জেলেরা বলেন,মাছ ধরতে যেন কেউ নদীতে না নামতে পাড়ে তার জন্য সরকারকে কঠোর হতে হবে। একই সাথে সুর মিলিয়ে আড়ৎদাররাও বল্লেন,আমাদের ব্যবসা ২২দিনের জন্য বন্ধ ঘোষনা করে সকল জেলেদের আড়ৎদাররা মাছ না ধরার জন্য উৎসায়ীত করে বলেছেন,কেউ যদি মাছ ধরে কোন ধরনের বিপদে পড়ে তার দায় তারা নিবে না। একই সাথে মা ইলিশ রক্ষায় সরকারকে সহযোগীতার কথা বলেন এসব আড়ৎদারেরা।

ইলিশ প্রজনন নিশ্চিত করতে মৎস্য বিভাগের নেতৃত্বে প্রশাসন,পুলিশ,কোস্টগার্ড যৌথ ভাবে কাজ করার কথা জানিয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্ল্যাহ বলেন, অভিযান শতভাগ সফল করার লক্ষ্য নিয়েই কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। এবার নদীতে যাতে জাল নিয়ে নামতে না পাড়ে সেদিকেই নজর আমার বেশি থাকবে। জাল,মাছ ও ট্রলার জব্দ কিংবা জেলে আটক নয়। যাতে এসব করতে না হয়,সেদিকটাই নজর দিচ্ছি। কোন ধরনের ছাড় দেয়া হবে না যদি কেউ জাল হাতে নদীতে নামে। একই সাথে চাল বিতরনের অনিয়ম সহ্য করাহবে না।

LEAVE A REPLY