ওরিয়ন নভোযান দিয়ে আরও জটিল মিশনের পরিকল্পনা করছে নাসা। ২০২৪ সালের শেষ থেকে ২০২৫–২৬ সাল নাগাদ চন্দ্রপৃষ্ঠে আবারও মানুষ পাঠানোর উদ্যোগ শুরু হতে পারে।
শেষবারের মতো এটি অর্জিত হয়েছিল আজ থেকে ঠিক ৫০ বছর আগে যখন অ্যাপোলো ১৭–এর নভোচারীরা চন্দ্রপৃষ্ঠে পা রেখেছিলেন। নাসার নতুন এই প্রজেক্টের নাম আর্টেমিস। গ্রিক পুরাণে তিনি অ্যাপোলোর বোন ছিলেন।
নাসার প্রশাসক বিল নেলসনের পর্যবেক্ষণ, ‘(অ্যাপোলোর অভিযানে) আমরা অসম্ভবকে সম্ভব করেছি।’
সাংবাদিকদের বিল নেলসন বলেন, ‘এখন আমরা ওই কাজটি আবার করতে যাচ্ছি কিন্তু ভিন্ন উদ্দেশ্যে। কারণ, এবার আমরা চাঁদে ফিরে যাচ্ছি, বাঁচতে শিখতে, কাজ করতে, উদ্ভাবন করতে ও তৈরি করতে, যাতে আরও মহাজাগতিক গবেষণার দিকে অগ্রসর হতে পারি।’
বিল নেলসন আরও বলেন, পরিকল্পনাটি হলো ২০৩০ সালের শেষ দিকে মানুষ নিয়ে মঙ্গল গ্রহে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হওয়া এবং এরপর সেটাকে আরও ছাড়িয়ে যাওয়া।
তিন সপ্তাহ ধরে সার্বক্ষণিকভাবে সংবাদমাধ্যমকে এই অভিযানের বিষয়ে অবহিত করে আসছিলেন আর্টেমিসের প্রকল্প পরিচালক মাইক সারাফিন। নিরাপদে ওরিয়নের ফিরে আসার ঘটনায় উচ্ছ্বাস লুকাতে পারেননি তিনি। সারাফিন বলেন, ‘বন্ধুরা, সফল মিশন দেখতে এ রকমই।’
আর্টেমিসের পরবর্তী মিশনে প্রথম ধাপে একজন মানুষ পাঠানোর কথা রয়েছে। এই মিশনের জন্য ইতিমধ্যে নাসার কাছে প্রপালশন মডেল হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রপালশন সিস্টেম হচ্ছে এমন একটি যন্ত্র, যা বস্তুকে সামনের দিকে ঠেলে দেওয়ার জন্য শক্তি জোগায়। নভোযান উৎক্ষেপণে এই যন্ত্রের বহুল ব্যবহার হয়ে থাকে।
তৃতীয় মহাকাশ যানটি জার্মানিতে সংযোজনের অগ্রসর পর্যায়ে রয়েছে। আর্টেমিস-৩ এ এটি ব্যবহৃত হবে। এটি হবে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের মিশন।
সময়সীমা বেঁধে চাঁদে আবারও মানুষ পাঠাতে হলে এখনো অনেক কিছু ঠিক করতে হবে। নাসা এখনো ল্যান্ডিং সিস্টেম (অবতরণের যন্ত্র) হাতে পায়নি। মার্কিন উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক এটি তৈরি করছেন।
স্টারশিপ নামের একটি বিশাল রকেট ও নভোযান তৈরি করছে মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স। আসছে মাসগুলোয় এটির প্রথম উৎক্ষেপণের কথা রয়েছে।
আর্টেমিস-৩–এর ধারণাটি হলো, ওরিয়ন চাঁদে স্টারশিপের সঙ্গে মিলবে, মাস্কের চন্দ্রযানটি নভোচারীদের চন্দ্রপৃষ্ঠে নিয়ে যাবে।