প্রিয় সহযোদ্ধা, নওশাদ হোসেন মুন,
যার ধমনীর রক্ত প্রবাহে বইছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির এক পরস্পরায় ধারাবাহিকতা। যেমন তোমার বাবা প্রয়াত মোশারেফ হোসেন সাহেব ১৯৮৭ থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত জননেতা তোফায়েল আহমেদ’র গ্রাম দক্ষিন দিঘলদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। একইসাথে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দ্বায়িত্ব পালন করেছেন নিষ্ঠার সাথে। তোমার দাদা মজিবুর রহমান পাটোয়ারি সাহেবও দীর্ঘদিন চেয়ারম্যানের দ্বায়িত্ব পালন করেন। তুমি নিজেও ২০০৩ সালের দলের র্দূদিনে প্রিয় নেতার নির্দেশে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছিলে। যদিও সেদিন আমাদের বীজয় ছিনতাই করা হয়েছিলো।
তরুন প্রতিশ্রতিশীল নেতৃত্ব, ভোলার সর্বস্তরের আওয়ামী পরিবারের প্রিয় মুখ, কর্মীবন্ধু মইনুল হোসেন বিপ্লব ভাই’র হাত ধরে নওশাদ তুমি ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এসেছো। সকল অভিমান ভুলে সক্রিয় হয়েছো আবারো রাজপথে। এযে আমাদের জন্য কি আনন্দের আজ, কেমন করে তোমাকে বলি। তুমি বিনাপ্রতিদ্বন্তীতায় শহর ছাত্রলীগের সভাপতি হয়েছিলে সেই ১৯৯৮ সালে। দ্বায়িত্ব পালন করেছো ২০০৩ সাল পর্যন্ত। পরে সদর উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক পদে থেকেছো ২০০৮ সাল পর্যন্ত। তারও আগে বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার জেলা শাখার সভাপতি ছিলে।
প্রিয় রাজপথের সাহসী সন্তান, তুমিসহ তোমার একঝাঁক বন্ধুরা সেই অতি অল্প বয়সেই ভোলার শিংহ পুরুষ, ৬৯ এর গনঅভ্যূত্থানের মহানায়ক, জাতির পিতার ঘনিষ্ট সহচর, ইতিহাসের জীবন্ত কিংবদন্তী জননেতা তোফায়েল আহমেদ’র হাত ধরে রাজনীতির হতেখড়ি নিয়েছিলে। পুরো শহর জুড়ে দাপটের সাথে রাজনীতির মাঠ দখলে রেখেছো তোমরা। তুমিতো সেই পরিক্ষিত মুজিব সৈনিক যে কারাগারের অন্ধকার প্রকাষ্ঠে নির্যাতন সজ্য করেছো মাসের পর মাস। তুমিতো আমাদের সেই আহংকার, যে কিনা ভোলার প্রথম আধুনিক ব্যান্ড (ফ্রি-স্কাই) এর গর্বিত সদস্য। প্রথম ক্যাসেট (এ্যালবাম) বের করলে তোমরা নিঃশ্ব হৃদয় ৯৫ সালের দিকে। তুমি গাইলে দুটি চমৎকার গান। যা এই প্রজন্মের অনের কাছেই অজানা।
নওশাদ তুমি নিশ্চই জানো, প্রিয় নেতার জন্মগ্রাম তথা তোমার দক্ষিন দিঘলদী ইউনিয়নের সকল দলীয় সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আমাদের সকলের প্রানপ্রিয় মইনুল হোসেন বিপ্লব ভাইকে দ্বায়িত্ব দেন বানিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। গত রমজানের ঈদের পর দিন বালিয়া এলাকায় এক বিশাল জনসভায় মন্ত্রী বলেন, আজ থেকে এই ইউনিয়নের সকল দলীয় দ্বায়িত্ব পালন করবেন জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব। ‘কারন বিপ্লব মানে আমি নিজেই, বলেন তোফায়েল আহমেদ।
প্রিয় ছোট ভাই নওশাদ, তুমি সঠিক সময়ে সঠিক স্বিদ্ধান্ত নিয়েছো। তোমার জন্য রইল আমার পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভ কামনা। তাই দেখতে চাই বিপ্লব ভাই’র নেতৃত্বে আবারো রাজপথে জ্বলে ওঠো আপন মহিমায়। যেমন করে একদিন প্রিয় নেতা তোফায়েল আহমেদ’র স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করতে আমাদের ভোলা শহরকে।
—
সামস উল আলম মিঠু
লেখক, কবি ও সাংবাদিক