ভোলা নিউজ ২৪ ডটনেট ।। বগুড়ার ধুনটে যুবদল নেতার বাড়ীতে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ ও বিএনপিন প্রার্থী সাবেক এমপি গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের গাড়ী বহরে হামলা চালিয়ে ৪টি গাড়ী ও ২০টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করেছে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। পৃথক হামলায় যুবদল ও ছাত্রদলের ২৩জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৬জনকে গুরুতর অবস্থায় বগুড়া হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাগেছে, সোমবার রাত ১১টায় এলাঙ্গী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও এলাঙ্গী ইউপি চেয়ারম্যান এমএ তারেক হেলাল সহ ৫০/৬০ নেতাকর্মী নৌকার মিছিল নিয়ে রাঙ্গামাটি গ্রামের মৃত গোলাম ইদ্রিসের ছেলে উপজেলা যুবদলের সদস্য মুরাদ হোসেনের বাড়ীতে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করতে থাকে। এসময় বাধা দিলে যুবদল নেতার চাচা আব্দুল কাদের সহ তিন জন মারধরে আহত করে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে তারা ঘরের মধ্যেই যুবদল নেতা মুরাদের মোটরসাইকেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে মহুর্তের মধ্যেই পুরো ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
যুবদল নেতার মা মায়া বেগম বলেন, আ’লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান এমএ তারেক হেলাল সহ ৫০/৬০ জন নেতাকর্মী ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের ঘরে ঢুকে পেট্রোল দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। সবার সামনেই আমার ঘরে রক্ষিত ধান-চাল, নগদ টাকা, গহনা, আসবাবপত্র সহ সব কিছুই পুড়ে ছাই হয়ে গেলেও কোন লোকজনকে আগুন নেভাতেও দেয়নি তারা। সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার পর তারা চলে যায়। এতে আমাদের ১০/১২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
তবে আওয়ামীলীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান এমএ তারেক হেলাল বলেন, আওয়ামীলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে তারা মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এদিকে যুবদল নেতার বাড়ীতে অগ্নিসংযোগের সংবাদ শুনে মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় বিএনপির প্রার্থী সাবেক এমপি গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ গাড়ী বহর নিয়ে ধুনট বাজারের প্রধান সড়ক দিয়ে রাঙ্গামাটি গ্রামের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ধুনট বাজারে স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিএনপি প্রার্থীর গাড়ী বহরে হামলা চালিয়ে ৪টি গাড়ী ও ১০টি মোটরসাইকেল ভাংচুর ও প্রায় ২০জন নেতাকর্মীকে মারধরে আহত করে। হামলার সময় ধুনট বাজারের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে লোকজন দিকবেদিক ছোটছুটি করতে থাকে। পরে পুলিশ কিছুটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। পরবর্তীতে বিএনপির প্রার্থী গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ তার নেতাকর্মীদের নিয়ে হুকুমআলী বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থায় নেয়। দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত আওয়ামীলীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
বিএনপির প্রার্থীর গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বলেন, আওয়ামীলীগ নীল নকশার নির্বাচন করতে যাচ্ছে। একারনেই তারা পুলিশের সামনেই আমার গাড়ী বহরে হামলা চালিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের মারধর এবং এক যুবদল নেতার বাড়ীতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। প্রশাসন নিরপেক্ষ না হলে কোন দিনই নির্বাচন সুষ্ঠ ও গ্রহনযোগ্য হবে না।
তবে ধুনট উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল হাই খোকন বলেন, বিএনপির মধ্যেই গ্রুপিং রয়েছে। তাই তাদের লোকজনই হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে। এঘটনায় আওয়ামীলীগের কোন নেতাকর্মী জড়িত নয় বলে তিনি দাবি করেন।
উপজেলা সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং বিএনপির প্রার্থীর সাথে কথা বলেছিল। এবিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে এবং ভোট যাতে সুষ্ঠ হয় এজন্য সকল ব্যবস্থা নেওয়া হবে।