ভোলা নিউজ ২৪ডটকম।। ভোলার মেঘনায় ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজ মেরিন আইন অমান্য করে চলাচল করেছে। জাহাজে ছিলেন না কোনো ক্যাপ্টেন।
ঘন কুয়াশার মধ্যে অদক্ষ চালক দিয়ে জাহাজ পরিচালনা করানোর কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিটিএ।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। জাহাজ দুর্ঘটনার ঘটনায় আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিআইডব্লিটিএ। ৩ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতাবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এছাড়া এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালনা বিভাগের (বিআইডব্লিটিএ) পরিচালক মো. শাজাহান এ তথ্য নিশ্চত করেছেন।
তিনি বলেন, জাহাজের ফিটনেস রয়েছে কিনা সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুর্ঘটনা কবলিত ওই জাহাজ মেরিন আইন ভঙ্গ করায় তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে পদ্মা ওয়েল কোম্পানি ও বিআইডব্লটাএ এর যৌথ প্রচেষ্টায় দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজটি উদ্ধার করা হবে। এ জন্য কোস্টগার্ড ও বিআইডব্লিটিএ এর ১৯ সদস্যের ডুবরি প্রস্তিত রয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থলে ১ হাজার টন ধারণ ক্ষমতার দুইটি জাহাজ উদ্ধার কাজে অংশ নেবে।
এদিকে উদ্ধার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোস্টগার্ড সার্বক্ষনিক নিরাপত্তায় থাকবে বলে জানিয়েছে কেস্টগার্ড জেসেন অপারেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট এম হাসান মেহেদি। তিনি বলেন, আমাদের ডুবুরি দল প্রস্তুত রয়েছে।
তবে কবে নাগাত জাহাজটি উদ্ধার হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না কেউ। তৃতীয় দিনে মতো তেল ছড়িয়ে পড়ছে মেঘনায়। এতে পরিবেশ দূষনের আশংকা করা হচ্ছে।
দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজের লস্কর ফরিদুল আলম পেটোয়ারি বলেন, জাহাজে ক্যাপ্টেন ছিল না। রাতে জাহাজটি চালাচ্ছিলেন সেকেন্ডে মাস্টার শাহ পরান, বড় মাস্টার বেল্লার ও সুকানি মুরাদ। সেখানে পাইলট থাকলে এমন দুর্ঘটনা হয়তো ঘটতো না।