বিশেষ প্রতিবেদক।। ভোলার তজমুদ্দিনের চাচঁড়ায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ,হামলা,দোকানপাট,ঘর-বাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। এঘটনায় নারী-শিশুসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০জন আহত হয়েছে।
গতরাত এবং আজ সকালে উপজেলার চাচঁড়া ইউনিয়ন পরিষদ এর সামনে এবং এর আশাপাশের এলাকায় এসব তান্ডব চলে। গতরাত সাড়ে ৯টায় নৌকার মিছিল শেষে বর্তমান চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান প্রার্থী মো: রিয়াদ হোসেন হান্নান এবং নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু তাহের মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে বাকবিতন্ডাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ শুরু হয়। থেমে থেমে দফায় দফায় চলা সংঘর্ষে অন্তত ২০জন আহত হয়। এসময় ভাংচুর করা হয় বর্তমান চেয়ারম্যান এর কার্যালয়,জাতীয় পার্টির স্থানীয় কার্যালয়, ৫টি দোকানপাট ও বেশ কয়েকটি ঘর-বাড়ি। সন্ত্রাসীদের তান্ডব থেকে বাদ যায়নি হান্নান সমর্থক নারী,পুরুষ ওশিশুরা পর্যন্ত।
এঘটনার রেশ না কাটতেই আজ ২১ মার্চ সকালে পুনরায় মাঝি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। কামাল,শরীফ ও আলমগীরসহ ৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করা হয়।এছাড়া বর্তমান চেয়ারম্যান রিয়াদ হোসেন হান্নান সমর্থীত সালাউদ্দিন মাঝি,আলী আজগর,মো: মহিউদ্দিন,আলমগীর,কামরুল ও এমরানসহ বেশ কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করেছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ্য রাজিয়া বেগম,রহিমা বিবি জানান। তারা আরো বলেন,নৌকার স্লোগান দিয়ে দুই দিগ থেকে দুটি মিছিল,লাঠি-সোটা ও বগি দা (ধারালো অস্ত্র)সহ এসে হামলা চালায়। এসময় আমরা তাদের পা ধরেও রক্ষা পাইনি। কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করার পাশাপাশি ভাংচুর করেছে ঘর-বাড়ি। তাদের তান্ডব থেকে রক্ষা পায়নি ১০ ম শ্রেনীর ছাত্রী সালাম। ঘরে ঢুকেই তাকে টানাহেচরা করে বাহিরে এনে মারধোর করে। তার মা রহিমা বিবি ও বাবা আলী আজগর বাধা দিতে আসলে তাদেরকেও মারধোর করে। কুপিয়ে আহত করে বাবা আলী আজগরকে।
এদিকে আহতদেরকে প্রথমে তজুমদ্দিন এবং পরে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে তজুমদ্দিন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। এঘটনায় উভয় চেয়ারম্যান প্রার্থীরা একে অপরকে দায়ী করে।
অপরদিকে আজ সকাল থেকে লালমোহন ও তজুমদ্দিন থেকে শত শত মটরসাইকেল নিয়ে এলাকায় শোডাউন করায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকার সাধারন মানুষের মাঝে তীব্র আতংক বিরাজ করছে।
চাচড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিয়াজ হোসেন হান্নান বলেন, নৌকার সমর্থকরা মিছিল করে আমার সমর্থকদের উপর হামলা করে ব্যাপক মারধোর করে।এছাড়া বহু বাসা-বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। পিটিয়ে আহত করেছে নারী-শিশুসহ বহ মানুষ। আমার অফিসটি তছনছ করে দিয়েছে ভেঙ্গে। আমি সুষ্ঠ সুন্দর নির্বাচনের জন্য প্রশাসনের কাছে দাবী জানাচ্ছি। একই সাথে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে তাদের বিচাঁর দাবী করছি।
আওয়ামীলীগের সমর্থীত নৌকার প্রার্থী মো: আবু তাহের বলেন,আমরা শান্তিপুর্ন মিছিলে হান্নান এর ক্যাডাররা হামলা চালিয়েছে। পিটিয়ে আহত এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করেছে। আওয়ামীলীগের নির্বাচন প্রচার প্রচারনাকে কালে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী রিয়াজ হোসেন হান্নান এর ক্যাডারদের গ্রেফতারের দাবী জানাই।
ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন,পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ভোলা সদর থেকেআরো অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হচ্ছে।